জীবনের সেরা রামাদন
বই : জীবনের সেরা রামাদানলেখক : ড. সালমান আল আওদাহপ্রকাশনী : সমকালীনঅনেকের কাছেই রামাদান খুব কষ্টকর। তারা এই মাসটাকে মাত্রাতিরিক্ত কষ্টসাধ্য ভাবে। এই মাস আসা মানেই যেন অপ্রিয় মেহমান হুট করে ঘাড়ে চাপা। দিন-রাত গুনতে থাকে—কবে যে মাসটা শেষ হবে, ধৈর্যের পরীক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে! দিন যায় আর তারা খুশি হয়। দেখতে দেখতে ঈদ এসে গেলে, কষ্টের মাস শেষ হলে তারা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে! কয়েকটি কারণে তারা এই মর্যাদাপূর্ণ মাসকে কষ্টকর মনে করে; এর শেষ হওয়ার আশায় থাকে।-[এক] বছরজুড়ে পানাহার, যৌনসম্ভোগ ও ভোগ-বিলাসে মেতে থাকতে অভ্যস্ত তারা। হালাল তো আছেই, হারাম উপভোগেও তাদের কোনো বাছবিচার থাকে না। এই মাস এসে তাদের সেই অবাধ বিচরণের সামনে যেন কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছে হলেই আনন্দ-ফুর্তি আর ভোগ-বিলাসে মেতে উঠতে পারে না তারা। এই কারণেই মুবারক এই মাস তাদের কাছে খুবই কঠিন মনে হয়, দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে।-[দুই] সারাবছর ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে এই কিসিমের লোকজন খুবই উদাসীন হয়ে থাকে। অনেকে তো সালাতের মতো ফরয আমলের ক্ষেত্রেও গা-ছাড়া; তবে রামাদান এলে কিছুটা ইবাদত-বন্দেগি করবে বলে ঠিক করে। এই কারণে সারাবছর মসজিদে খুঁজে না পাওয়া গেলেও রামাদান মাসে মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না, জুমুআতে তো একদম হিমশিম খাওয়া ভিড়। নিয়মিত সিয়ামও পালন করে তারা, কিন্তু এতেও তাদের হৃদয়ে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসাটা ঠিক তৈরি হয়ে ওঠে না, নেক-আমলের অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সব মিলিয়ে রামাদানটা তাদের কাছে কেবল ভারী ভারীই লাগে।--
An Najahah Shop
Category List
All products

বই : জীবনের সেরা রামাদান
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহ
প্রকাশনী : সমকালীন
অনেকের কাছেই রামাদান খুব কষ্টকর। তারা এই মাসটাকে মাত্রাতিরিক্ত কষ্টসাধ্য ভাবে। এই মাস আসা মানেই যেন অপ্রিয় মেহমান হুট করে ঘাড়ে চাপা। দিন-রাত গুনতে থাকে—কবে যে মাসটা শেষ হবে, ধৈর্যের পরীক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে! দিন যায় আর তারা খুশি হয়। দেখতে দেখতে ঈদ এসে গেলে, কষ্টের মাস শেষ হলে তারা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে! কয়েকটি কারণে তারা এই মর্যাদাপূর্ণ মাসকে কষ্টকর মনে করে; এর শেষ হওয়ার আশায় থাকে।
-
[এক] বছরজুড়ে পানাহার, যৌনসম্ভোগ ও ভোগ-বিলাসে মেতে থাকতে অভ্যস্ত তারা। হালাল তো আছেই, হারাম উপভোগেও তাদের কোনো বাছবিচার থাকে না। এই মাস এসে তাদের সেই অবাধ বিচরণের সামনে যেন কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছে হলেই আনন্দ-ফুর্তি আর ভোগ-বিলাসে মেতে উঠতে পারে না তারা। এই কারণেই মুবারক এই মাস তাদের কাছে খুবই কঠিন মনে হয়, দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে।
-
[দুই] সারাবছর ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে এই কিসিমের লোকজন খুবই উদাসীন হয়ে থাকে। অনেকে তো সালাতের মতো ফরয আমলের ক্ষেত্রেও গা-ছাড়া; তবে রামাদান এলে কিছুটা ইবাদত-বন্দেগি করবে বলে ঠিক করে। এই কারণে সারাবছর মসজিদে খুঁজে না পাওয়া গেলেও রামাদান মাসে মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না, জুমুআতে তো একদম হিমশিম খাওয়া ভিড়। নিয়মিত সিয়ামও পালন করে তারা, কিন্তু এতেও তাদের হৃদয়ে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসাটা ঠিক তৈরি হয়ে ওঠে না, নেক-আমলের অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সব মিলিয়ে রামাদানটা তাদের কাছে কেবল ভারী ভারীই লাগে।
-
-
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহ
প্রকাশনী : সমকালীন
অনেকের কাছেই রামাদান খুব কষ্টকর। তারা এই মাসটাকে মাত্রাতিরিক্ত কষ্টসাধ্য ভাবে। এই মাস আসা মানেই যেন অপ্রিয় মেহমান হুট করে ঘাড়ে চাপা। দিন-রাত গুনতে থাকে—কবে যে মাসটা শেষ হবে, ধৈর্যের পরীক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে! দিন যায় আর তারা খুশি হয়। দেখতে দেখতে ঈদ এসে গেলে, কষ্টের মাস শেষ হলে তারা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে! কয়েকটি কারণে তারা এই মর্যাদাপূর্ণ মাসকে কষ্টকর মনে করে; এর শেষ হওয়ার আশায় থাকে।
-
[এক] বছরজুড়ে পানাহার, যৌনসম্ভোগ ও ভোগ-বিলাসে মেতে থাকতে অভ্যস্ত তারা। হালাল তো আছেই, হারাম উপভোগেও তাদের কোনো বাছবিচার থাকে না। এই মাস এসে তাদের সেই অবাধ বিচরণের সামনে যেন কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছে হলেই আনন্দ-ফুর্তি আর ভোগ-বিলাসে মেতে উঠতে পারে না তারা। এই কারণেই মুবারক এই মাস তাদের কাছে খুবই কঠিন মনে হয়, দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে।
-
[দুই] সারাবছর ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে এই কিসিমের লোকজন খুবই উদাসীন হয়ে থাকে। অনেকে তো সালাতের মতো ফরয আমলের ক্ষেত্রেও গা-ছাড়া; তবে রামাদান এলে কিছুটা ইবাদত-বন্দেগি করবে বলে ঠিক করে। এই কারণে সারাবছর মসজিদে খুঁজে না পাওয়া গেলেও রামাদান মাসে মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না, জুমুআতে তো একদম হিমশিম খাওয়া ভিড়। নিয়মিত সিয়ামও পালন করে তারা, কিন্তু এতেও তাদের হৃদয়ে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসাটা ঠিক তৈরি হয়ে ওঠে না, নেক-আমলের অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সব মিলিয়ে রামাদানটা তাদের কাছে কেবল ভারী ভারীই লাগে।
-
-
জীবনের সেরা রামাদন
200 BDT286 BDTSave 86 BDT
1
বই : জীবনের সেরা রামাদান
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহ
প্রকাশনী : সমকালীন
অনেকের কাছেই রামাদান খুব কষ্টকর। তারা এই মাসটাকে মাত্রাতিরিক্ত কষ্টসাধ্য ভাবে। এই মাস আসা মানেই যেন অপ্রিয় মেহমান হুট করে ঘাড়ে চাপা। দিন-রাত গুনতে থাকে—কবে যে মাসটা শেষ হবে, ধৈর্যের পরীক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে! দিন যায় আর তারা খুশি হয়। দেখতে দেখতে ঈদ এসে গেলে, কষ্টের মাস শেষ হলে তারা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে! কয়েকটি কারণে তারা এই মর্যাদাপূর্ণ মাসকে কষ্টকর মনে করে; এর শেষ হওয়ার আশায় থাকে।
-
[এক] বছরজুড়ে পানাহার, যৌনসম্ভোগ ও ভোগ-বিলাসে মেতে থাকতে অভ্যস্ত তারা। হালাল তো আছেই, হারাম উপভোগেও তাদের কোনো বাছবিচার থাকে না। এই মাস এসে তাদের সেই অবাধ বিচরণের সামনে যেন কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছে হলেই আনন্দ-ফুর্তি আর ভোগ-বিলাসে মেতে উঠতে পারে না তারা। এই কারণেই মুবারক এই মাস তাদের কাছে খুবই কঠিন মনে হয়, দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে।
-
[দুই] সারাবছর ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে এই কিসিমের লোকজন খুবই উদাসীন হয়ে থাকে। অনেকে তো সালাতের মতো ফরয আমলের ক্ষেত্রেও গা-ছাড়া; তবে রামাদান এলে কিছুটা ইবাদত-বন্দেগি করবে বলে ঠিক করে। এই কারণে সারাবছর মসজিদে খুঁজে না পাওয়া গেলেও রামাদান মাসে মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না, জুমুআতে তো একদম হিমশিম খাওয়া ভিড়। নিয়মিত সিয়ামও পালন করে তারা, কিন্তু এতেও তাদের হৃদয়ে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসাটা ঠিক তৈরি হয়ে ওঠে না, নেক-আমলের অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সব মিলিয়ে রামাদানটা তাদের কাছে কেবল ভারী ভারীই লাগে।
-
-
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহ
প্রকাশনী : সমকালীন
অনেকের কাছেই রামাদান খুব কষ্টকর। তারা এই মাসটাকে মাত্রাতিরিক্ত কষ্টসাধ্য ভাবে। এই মাস আসা মানেই যেন অপ্রিয় মেহমান হুট করে ঘাড়ে চাপা। দিন-রাত গুনতে থাকে—কবে যে মাসটা শেষ হবে, ধৈর্যের পরীক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে! দিন যায় আর তারা খুশি হয়। দেখতে দেখতে ঈদ এসে গেলে, কষ্টের মাস শেষ হলে তারা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচে! কয়েকটি কারণে তারা এই মর্যাদাপূর্ণ মাসকে কষ্টকর মনে করে; এর শেষ হওয়ার আশায় থাকে।
-
[এক] বছরজুড়ে পানাহার, যৌনসম্ভোগ ও ভোগ-বিলাসে মেতে থাকতে অভ্যস্ত তারা। হালাল তো আছেই, হারাম উপভোগেও তাদের কোনো বাছবিচার থাকে না। এই মাস এসে তাদের সেই অবাধ বিচরণের সামনে যেন কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছে হলেই আনন্দ-ফুর্তি আর ভোগ-বিলাসে মেতে উঠতে পারে না তারা। এই কারণেই মুবারক এই মাস তাদের কাছে খুবই কঠিন মনে হয়, দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে।
-
[দুই] সারাবছর ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে এই কিসিমের লোকজন খুবই উদাসীন হয়ে থাকে। অনেকে তো সালাতের মতো ফরয আমলের ক্ষেত্রেও গা-ছাড়া; তবে রামাদান এলে কিছুটা ইবাদত-বন্দেগি করবে বলে ঠিক করে। এই কারণে সারাবছর মসজিদে খুঁজে না পাওয়া গেলেও রামাদান মাসে মসজিদে জায়গা পাওয়া যায় না, জুমুআতে তো একদম হিমশিম খাওয়া ভিড়। নিয়মিত সিয়ামও পালন করে তারা, কিন্তু এতেও তাদের হৃদয়ে ইবাদতের প্রতি ভালোবাসাটা ঠিক তৈরি হয়ে ওঠে না, নেক-আমলের অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সব মিলিয়ে রামাদানটা তাদের কাছে কেবল ভারী ভারীই লাগে।
-
-