An Najahah Shop
EN

তিনিই আমার রব (দ্বিতীয় )

An Najahah Shop

তিনিই আমার রব (দ্বিতীয় )
  • তিনিই আমার রব (দ্বিতীয় )_img_0

তিনিই আমার রব (দ্বিতীয় )

190 BDT275 BDTSave 85 BDT
1

লেখক : শাইখ ড. রাতিব আন-নাবুলুসি
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
'তিনিই আমার রব-২' থেকে–

তিনি আপনার জন্য যা ভালোবেসেছেন তা-ই আপনাকে দান করেছেন। অতএব, তার বণ্টনে সন্তুষ্ট থাকুন। যে বাবা-মায়ের ঔরসে তিনি আপনার অস্তিত্ব দান করেছেন, সর্বপ্রথম তাদেরকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। আপনার জন্য যেমন বাবা-মা হওয়ার প্রয়োজন ছিলো, তেমন বাবা-মা-ই তিনি আপনাকে দিয়েছেন।

আপনার বন্ধুর বাবা সন্তানকে খুব আদর করে, তার মনটা খুব কোমল, সে অনেক উন্নত চরিত্রের অধিকারি; আর আপনার বাবা কর্কশ, বদমেজাজি। বন্ধুর বাবা উচ্চশিক্ষিত, সম্পদশালী, বড় পদ মর্যাদার অধিকারী; আর আপনার বাবা মূর্খ, দরিদ্র- এসব চিন্তা করে মন খারাপ করবেন না। কারণ মহান আল্লাহ শাশ্বত প্রজ্ঞা ও অসীম জ্ঞানের আলোকে আপনার জন্য নির্বাচন করেছেন আপনার বাবা-মাকে। অতএব, তাদেরকে সৌভাগ্য মনে করুন। আল্লাহর জন্য হলেও তাদেরকে ভালোবাসুন।

ঠিক একইভাবে আপনার দৈহিক গঠন, রূপ-সৌন্দর্য এবং শারীরিক আকৃতির ব্যাপারেও আল্লাহর পছন্দে খুশি হোন। কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর অভিযোগ করে, সে মুমিন হতে পারে না। পিতা, মাতা, দৈহিক আকার-আকৃতি, স্ত্রী পরিজন, ঘর-বাড়ি, ধন-সম্পদ সবকিছুর ক্ষেত্রেই আল্লাহ আপনার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন। এতে আপনি যে আত্মিক প্রশান্তি পাবেন তা অন্য কোথাও কল্পনা করা সম্ভব নয়। অমুসলিম, অবিশ্বাসী সারা জীবন অস্থিরতা ও জ্বালা-যন্ত্রণার মধ্যেই দিন কাটায়। স্ত্রী মন মতো না হলে, হতাশ হয়ে যায়। তার জীবনের দুঃখ আর ঘোচে না কোনো কিছুতে। কিন্তু মুমিন আল্লাহর পছন্দে খুশি হয়, তাই সে সহজে হতাশ হয় না। আপনার স্ত্রী যদি আপনার মত মতো না-ও হয়, তবুও বিশ্বাস রাখুন আল্লাহ তা’আলা তার মধ্যেই আপনার কল্যাণ রেখেছেন। তাকে নিয়েই খুশি থাকুন।

এক লোকের বদমেজাজি স্ত্রী ছিলো। লোকেরা পরামর্শ দিলো, তালাক দিয়ে দাও। কিন্তু সে উত্তর দিলো, আমি তাকে তালাক দিয়ে অন্য কোনো মুসলিম ভাইকে ধোঁকা দিতে পারবো না। অর্থ্যাৎ সে আল্লাহর ফায়সালায় খুশি ছিলো। তার কাছে স্ত্রীর যতটুকু সমস্যা ছিলো, এটাকে সে অন্য মুসলিম ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা ভালো মনে করেনি।

সারকথা, আপনি সদা সর্বদা আল্লাহর ফায়সালা ও বণ্টনে খুশি থাকুন। আল্লাহর সান্নিধ্যেই সৌভাগ্য অর্জন করুন। আর-রাযযাক আপনাকে যে রিযিক দিয়েছেন, তাতে তৃপ্ত হোন। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা আপনার হাতে যে সম্পদ দিয়েছেন, তাকে আমানত মনে করুন। তা আপনার মালিকানা নয়; আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কাছে রাখা আমানত। অতএব, তা খরচের পদ্ধতি ও খাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ীই খরচ করুন।