আর রাহিকুল মাখতুম
বই : আর রাহিকুল মাখতুম লেখক : শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি প্রকাশন: সমকালীন প্রকালনরাসূলে আরাবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জীবন ইতিহাস এমন এক মহামূল্যবান রত্ন, যা চিরকাল মানুষের জন্য শিক্ষার উৎস এবং আলোর পথ দেখিয়ে এসেছে। সেই মহামূল্যবান জীবনের ওপর লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রামাণ্য গ্রন্থগুলোর একটি হল 'আর রাহিকুল মাখতুম'। এই গ্রন্থটি অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং গভীর গবেষণার ফসল, যা ইসলামী বিশ্বে অমূল্য এক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর লেখক শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি নিজের হৃদয় ও আত্মাকে মিশিয়ে, অশেষ প্রেম ও শ্রদ্ধার সাথে মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যেন তা পাঠকের হৃদয়ে এক নিবিড় আবেগের ঢেউ তোলে।'আর রাহিকুল মাখতুম' শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়; এটি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত এক প্রেমের নিবেদন। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী পড়তে গেলে প্রথমেই আমাদের আরবের তৎকালীন অবস্থা বুঝতে হবে। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নবুয়তের পূর্ববর্তী আরবের চিত্র অঙ্কন করেছেন, যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় ভ্রান্তি এবং অনৈতিক কার্যকলাপ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই অন্ধকারময় সময়ে আল্লাহর প্রেরিত নবীজী (সা.)-এর আগমন এক পরম আশীর্বাদ ছিল। লেখক সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন কীভাবে নবীজীর আগমন মানবজাতির জন্য আলোর এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছিল।নবুয়ত লাভের পর মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল মক্কার সেই দিনগুলো, যখন তিনি একা একা সত্যের পথে আহ্বান করছিলেন মানুষকে। মোবারকপুরী অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে নবীজীর ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং কষ্টকে বর্ণনা করেছেন, যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়। বিশেষ করে শাব-ই-আবু তালিবে কুরাইশদের অবরোধ এবং নবীজীর নিজের গোত্রের বিরোধিতা—এই ঘটনাগুলোতে তার ইমান এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস যে কত গভীর ছিল, তা লেখক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এসব সংগ্রাম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি আমাদের জীবনের দুঃসময়ে শক্তি খুঁজে পাওয়ার উপদেশ।'আর রাহিকুল মাখতুম'-এর এক বিশেষ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ইসরাআ ও মেরাজের মহিমান্বিত ঘটনা, যেখানে নবীজী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মোবারকপুরীর ভাষায় এই ঘটনাটির বর্ণনা এমন এক আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায়, যা পাঠককে এক ধরণের আকাশছোঁয়া অভিজ্ঞতা দেয়। নবীজীর জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি ইসলামী ইতিহাসে বিশেষভাবে মূল্যবান, এবং লেখক তার ব্যাখ্যায় সেই মহিমান্বিত গাম্ভীর্যকে সংরক্ষণ করেছেন।নবীজী (সা.)-এর হিজরত এবং মদিনার জীবন আরবের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। মোবারকপুরী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মদিনায় নবীজীর নেতৃত্ব, তার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কৌশল, এবং সামাজিক সাম্যের প্রতিষ্ঠার গল্প বর্ণনা করেছেন। মদিনায় ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন, সেখানে আইন প্রণয়ন, এবং বিভিন্ন যুদ্ধে নবীজীর নেতৃত্ব—এগুলো পড়তে গিয়ে পাঠক এক নতুন ইসলামি জগতের সাথে পরিচিত হয়। বিশেষ করে বদর, উহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধের কাহিনিগুলো অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা পাঠকের মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন নবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ। 'আর রাহিকুল মাখতুম'-এ নবীজীর চরিত্রের এমন সব দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। তার ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, সত্যবাদিতা, মানবতা এবং সর্বোপরি তার আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা আমাদের জীবনে এক অনুকরণীয় উদাহরণ।'আর রাহিকুল মাখতুম' নিঃসন্দেহে সীরাত সাহিত্য জগতে এক অমূল্য রত্ন। এর প্রতিটি অধ্যায়ে নবীজীর (সা.) জীবনের এমন গভীর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু পাঠকের মনকে জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করে না, বরং হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে তোলে। যারা মহানবী (সা.)-এর জীবনী নিয়ে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি শুধু একটি বই নয়, বরং এটি এক হৃদয়গ্রাহী ভ্রমণ, যা নবীজীর প্রেমে গভীরভাবে মগ্ন হওয়ার সুযোগ করে দেয়।সবশেষে একটি কথা বলতেই হবে, সিরাত জানতে হলে 'আর রাহিকুল মাখতুম' মাস্টরিড একটি বই। আর রাসূলের (সা.) সিরাত ছাড়া আমাদের ব্যক্তি জীবন সুন্দর করা অসম্ভব
An Najahah Shop
Category List
All products

বই : আর রাহিকুল মাখতুম
লেখক : শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি
প্রকাশন: সমকালীন প্রকালন
রাসূলে আরাবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জীবন ইতিহাস এমন এক মহামূল্যবান রত্ন, যা চিরকাল মানুষের জন্য শিক্ষার উৎস এবং আলোর পথ দেখিয়ে এসেছে। সেই মহামূল্যবান জীবনের ওপর লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রামাণ্য গ্রন্থগুলোর একটি হল 'আর রাহিকুল মাখতুম'। এই গ্রন্থটি অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং গভীর গবেষণার ফসল, যা ইসলামী বিশ্বে অমূল্য এক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর লেখক শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি নিজের হৃদয় ও আত্মাকে মিশিয়ে, অশেষ প্রেম ও শ্রদ্ধার সাথে মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যেন তা পাঠকের হৃদয়ে এক নিবিড় আবেগের ঢেউ তোলে।
'আর রাহিকুল মাখতুম' শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়; এটি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত এক প্রেমের নিবেদন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী পড়তে গেলে প্রথমেই আমাদের আরবের তৎকালীন অবস্থা বুঝতে হবে। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নবুয়তের পূর্ববর্তী আরবের চিত্র অঙ্কন করেছেন, যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় ভ্রান্তি এবং অনৈতিক কার্যকলাপ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই অন্ধকারময় সময়ে আল্লাহর প্রেরিত নবীজী (সা.)-এর আগমন এক পরম আশীর্বাদ ছিল। লেখক সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন কীভাবে নবীজীর আগমন মানবজাতির জন্য আলোর এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছিল।
নবুয়ত লাভের পর মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল মক্কার সেই দিনগুলো, যখন তিনি একা একা সত্যের পথে আহ্বান করছিলেন মানুষকে। মোবারকপুরী অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে নবীজীর ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং কষ্টকে বর্ণনা করেছেন, যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়। বিশেষ করে শাব-ই-আবু তালিবে কুরাইশদের অবরোধ এবং নবীজীর নিজের গোত্রের বিরোধিতা—এই ঘটনাগুলোতে তার ইমান এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস যে কত গভীর ছিল, তা লেখক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এসব সংগ্রাম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি আমাদের জীবনের দুঃসময়ে শক্তি খুঁজে পাওয়ার উপদেশ।
'আর রাহিকুল মাখতুম'-এর এক বিশেষ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ইসরাআ ও মেরাজের মহিমান্বিত ঘটনা, যেখানে নবীজী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মোবারকপুরীর ভাষায় এই ঘটনাটির বর্ণনা এমন এক আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায়, যা পাঠককে এক ধরণের আকাশছোঁয়া অভিজ্ঞতা দেয়। নবীজীর জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি ইসলামী ইতিহাসে বিশেষভাবে মূল্যবান, এবং লেখক তার ব্যাখ্যায় সেই মহিমান্বিত গাম্ভীর্যকে সংরক্ষণ করেছেন।
নবীজী (সা.)-এর হিজরত এবং মদিনার জীবন আরবের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। মোবারকপুরী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মদিনায় নবীজীর নেতৃত্ব, তার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কৌশল, এবং সামাজিক সাম্যের প্রতিষ্ঠার গল্প বর্ণনা করেছেন। মদিনায় ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন, সেখানে আইন প্রণয়ন, এবং বিভিন্ন যুদ্ধে নবীজীর নেতৃত্ব—এগুলো পড়তে গিয়ে পাঠক এক নতুন ইসলামি জগতের সাথে পরিচিত হয়। বিশেষ করে বদর, উহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধের কাহিনিগুলো অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা পাঠকের মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন নবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ। 'আর রাহিকুল মাখতুম'-এ নবীজীর চরিত্রের এমন সব দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। তার ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, সত্যবাদিতা, মানবতা এবং সর্বোপরি তার আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা আমাদের জীবনে এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
'আর রাহিকুল মাখতুম' নিঃসন্দেহে সীরাত সাহিত্য জগতে এক অমূল্য রত্ন। এর প্রতিটি অধ্যায়ে নবীজীর (সা.) জীবনের এমন গভীর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু পাঠকের মনকে জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করে না, বরং হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে তোলে। যারা মহানবী (সা.)-এর জীবনী নিয়ে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি শুধু একটি বই নয়, বরং এটি এক হৃদয়গ্রাহী ভ্রমণ, যা নবীজীর প্রেমে গভীরভাবে মগ্ন হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
সবশেষে একটি কথা বলতেই হবে, সিরাত জানতে হলে 'আর রাহিকুল মাখতুম' মাস্টরিড একটি বই। আর রাসূলের (সা.) সিরাত ছাড়া আমাদের ব্যক্তি জীবন সুন্দর করা অসম্ভব
লেখক : শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি
প্রকাশন: সমকালীন প্রকালন
রাসূলে আরাবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জীবন ইতিহাস এমন এক মহামূল্যবান রত্ন, যা চিরকাল মানুষের জন্য শিক্ষার উৎস এবং আলোর পথ দেখিয়ে এসেছে। সেই মহামূল্যবান জীবনের ওপর লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রামাণ্য গ্রন্থগুলোর একটি হল 'আর রাহিকুল মাখতুম'। এই গ্রন্থটি অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং গভীর গবেষণার ফসল, যা ইসলামী বিশ্বে অমূল্য এক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর লেখক শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি নিজের হৃদয় ও আত্মাকে মিশিয়ে, অশেষ প্রেম ও শ্রদ্ধার সাথে মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যেন তা পাঠকের হৃদয়ে এক নিবিড় আবেগের ঢেউ তোলে।
'আর রাহিকুল মাখতুম' শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়; এটি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত এক প্রেমের নিবেদন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী পড়তে গেলে প্রথমেই আমাদের আরবের তৎকালীন অবস্থা বুঝতে হবে। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নবুয়তের পূর্ববর্তী আরবের চিত্র অঙ্কন করেছেন, যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় ভ্রান্তি এবং অনৈতিক কার্যকলাপ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই অন্ধকারময় সময়ে আল্লাহর প্রেরিত নবীজী (সা.)-এর আগমন এক পরম আশীর্বাদ ছিল। লেখক সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন কীভাবে নবীজীর আগমন মানবজাতির জন্য আলোর এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছিল।
নবুয়ত লাভের পর মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল মক্কার সেই দিনগুলো, যখন তিনি একা একা সত্যের পথে আহ্বান করছিলেন মানুষকে। মোবারকপুরী অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে নবীজীর ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং কষ্টকে বর্ণনা করেছেন, যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়। বিশেষ করে শাব-ই-আবু তালিবে কুরাইশদের অবরোধ এবং নবীজীর নিজের গোত্রের বিরোধিতা—এই ঘটনাগুলোতে তার ইমান এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস যে কত গভীর ছিল, তা লেখক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এসব সংগ্রাম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি আমাদের জীবনের দুঃসময়ে শক্তি খুঁজে পাওয়ার উপদেশ।
'আর রাহিকুল মাখতুম'-এর এক বিশেষ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ইসরাআ ও মেরাজের মহিমান্বিত ঘটনা, যেখানে নবীজী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মোবারকপুরীর ভাষায় এই ঘটনাটির বর্ণনা এমন এক আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায়, যা পাঠককে এক ধরণের আকাশছোঁয়া অভিজ্ঞতা দেয়। নবীজীর জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি ইসলামী ইতিহাসে বিশেষভাবে মূল্যবান, এবং লেখক তার ব্যাখ্যায় সেই মহিমান্বিত গাম্ভীর্যকে সংরক্ষণ করেছেন।
নবীজী (সা.)-এর হিজরত এবং মদিনার জীবন আরবের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। মোবারকপুরী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মদিনায় নবীজীর নেতৃত্ব, তার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কৌশল, এবং সামাজিক সাম্যের প্রতিষ্ঠার গল্প বর্ণনা করেছেন। মদিনায় ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন, সেখানে আইন প্রণয়ন, এবং বিভিন্ন যুদ্ধে নবীজীর নেতৃত্ব—এগুলো পড়তে গিয়ে পাঠক এক নতুন ইসলামি জগতের সাথে পরিচিত হয়। বিশেষ করে বদর, উহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধের কাহিনিগুলো অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা পাঠকের মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন নবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ। 'আর রাহিকুল মাখতুম'-এ নবীজীর চরিত্রের এমন সব দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। তার ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, সত্যবাদিতা, মানবতা এবং সর্বোপরি তার আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা আমাদের জীবনে এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
'আর রাহিকুল মাখতুম' নিঃসন্দেহে সীরাত সাহিত্য জগতে এক অমূল্য রত্ন। এর প্রতিটি অধ্যায়ে নবীজীর (সা.) জীবনের এমন গভীর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু পাঠকের মনকে জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করে না, বরং হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে তোলে। যারা মহানবী (সা.)-এর জীবনী নিয়ে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি শুধু একটি বই নয়, বরং এটি এক হৃদয়গ্রাহী ভ্রমণ, যা নবীজীর প্রেমে গভীরভাবে মগ্ন হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
সবশেষে একটি কথা বলতেই হবে, সিরাত জানতে হলে 'আর রাহিকুল মাখতুম' মাস্টরিড একটি বই। আর রাসূলের (সা.) সিরাত ছাড়া আমাদের ব্যক্তি জীবন সুন্দর করা অসম্ভব
আর রাহিকুল মাখতুম
425 BDT849 BDTSave 424 BDT
1
বই : আর রাহিকুল মাখতুম
লেখক : শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি
প্রকাশন: সমকালীন প্রকালন
রাসূলে আরাবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জীবন ইতিহাস এমন এক মহামূল্যবান রত্ন, যা চিরকাল মানুষের জন্য শিক্ষার উৎস এবং আলোর পথ দেখিয়ে এসেছে। সেই মহামূল্যবান জীবনের ওপর লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রামাণ্য গ্রন্থগুলোর একটি হল 'আর রাহিকুল মাখতুম'। এই গ্রন্থটি অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং গভীর গবেষণার ফসল, যা ইসলামী বিশ্বে অমূল্য এক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর লেখক শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি নিজের হৃদয় ও আত্মাকে মিশিয়ে, অশেষ প্রেম ও শ্রদ্ধার সাথে মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যেন তা পাঠকের হৃদয়ে এক নিবিড় আবেগের ঢেউ তোলে।
'আর রাহিকুল মাখতুম' শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়; এটি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত এক প্রেমের নিবেদন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী পড়তে গেলে প্রথমেই আমাদের আরবের তৎকালীন অবস্থা বুঝতে হবে। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নবুয়তের পূর্ববর্তী আরবের চিত্র অঙ্কন করেছেন, যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় ভ্রান্তি এবং অনৈতিক কার্যকলাপ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই অন্ধকারময় সময়ে আল্লাহর প্রেরিত নবীজী (সা.)-এর আগমন এক পরম আশীর্বাদ ছিল। লেখক সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন কীভাবে নবীজীর আগমন মানবজাতির জন্য আলোর এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছিল।
নবুয়ত লাভের পর মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল মক্কার সেই দিনগুলো, যখন তিনি একা একা সত্যের পথে আহ্বান করছিলেন মানুষকে। মোবারকপুরী অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে নবীজীর ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং কষ্টকে বর্ণনা করেছেন, যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়। বিশেষ করে শাব-ই-আবু তালিবে কুরাইশদের অবরোধ এবং নবীজীর নিজের গোত্রের বিরোধিতা—এই ঘটনাগুলোতে তার ইমান এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস যে কত গভীর ছিল, তা লেখক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এসব সংগ্রাম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি আমাদের জীবনের দুঃসময়ে শক্তি খুঁজে পাওয়ার উপদেশ।
'আর রাহিকুল মাখতুম'-এর এক বিশেষ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ইসরাআ ও মেরাজের মহিমান্বিত ঘটনা, যেখানে নবীজী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মোবারকপুরীর ভাষায় এই ঘটনাটির বর্ণনা এমন এক আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায়, যা পাঠককে এক ধরণের আকাশছোঁয়া অভিজ্ঞতা দেয়। নবীজীর জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি ইসলামী ইতিহাসে বিশেষভাবে মূল্যবান, এবং লেখক তার ব্যাখ্যায় সেই মহিমান্বিত গাম্ভীর্যকে সংরক্ষণ করেছেন।
নবীজী (সা.)-এর হিজরত এবং মদিনার জীবন আরবের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। মোবারকপুরী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মদিনায় নবীজীর নেতৃত্ব, তার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কৌশল, এবং সামাজিক সাম্যের প্রতিষ্ঠার গল্প বর্ণনা করেছেন। মদিনায় ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন, সেখানে আইন প্রণয়ন, এবং বিভিন্ন যুদ্ধে নবীজীর নেতৃত্ব—এগুলো পড়তে গিয়ে পাঠক এক নতুন ইসলামি জগতের সাথে পরিচিত হয়। বিশেষ করে বদর, উহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধের কাহিনিগুলো অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা পাঠকের মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন নবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ। 'আর রাহিকুল মাখতুম'-এ নবীজীর চরিত্রের এমন সব দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। তার ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, সত্যবাদিতা, মানবতা এবং সর্বোপরি তার আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা আমাদের জীবনে এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
'আর রাহিকুল মাখতুম' নিঃসন্দেহে সীরাত সাহিত্য জগতে এক অমূল্য রত্ন। এর প্রতিটি অধ্যায়ে নবীজীর (সা.) জীবনের এমন গভীর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু পাঠকের মনকে জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করে না, বরং হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে তোলে। যারা মহানবী (সা.)-এর জীবনী নিয়ে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি শুধু একটি বই নয়, বরং এটি এক হৃদয়গ্রাহী ভ্রমণ, যা নবীজীর প্রেমে গভীরভাবে মগ্ন হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
সবশেষে একটি কথা বলতেই হবে, সিরাত জানতে হলে 'আর রাহিকুল মাখতুম' মাস্টরিড একটি বই। আর রাসূলের (সা.) সিরাত ছাড়া আমাদের ব্যক্তি জীবন সুন্দর করা অসম্ভব
লেখক : শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি
প্রকাশন: সমকালীন প্রকালন
রাসূলে আরাবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জীবন ইতিহাস এমন এক মহামূল্যবান রত্ন, যা চিরকাল মানুষের জন্য শিক্ষার উৎস এবং আলোর পথ দেখিয়ে এসেছে। সেই মহামূল্যবান জীবনের ওপর লেখা সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রামাণ্য গ্রন্থগুলোর একটি হল 'আর রাহিকুল মাখতুম'। এই গ্রন্থটি অসাধারণ পাণ্ডিত্য এবং গভীর গবেষণার ফসল, যা ইসলামী বিশ্বে অমূল্য এক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর লেখক শাইখ সফিউর রহমান মোবারকপুরি নিজের হৃদয় ও আত্মাকে মিশিয়ে, অশেষ প্রেম ও শ্রদ্ধার সাথে মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যেন তা পাঠকের হৃদয়ে এক নিবিড় আবেগের ঢেউ তোলে।
'আর রাহিকুল মাখতুম' শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়; এটি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত এক প্রেমের নিবেদন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী পড়তে গেলে প্রথমেই আমাদের আরবের তৎকালীন অবস্থা বুঝতে হবে। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নবুয়তের পূর্ববর্তী আরবের চিত্র অঙ্কন করেছেন, যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় ভ্রান্তি এবং অনৈতিক কার্যকলাপ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই অন্ধকারময় সময়ে আল্লাহর প্রেরিত নবীজী (সা.)-এর আগমন এক পরম আশীর্বাদ ছিল। লেখক সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন কীভাবে নবীজীর আগমন মানবজাতির জন্য আলোর এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছিল।
নবুয়ত লাভের পর মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল মক্কার সেই দিনগুলো, যখন তিনি একা একা সত্যের পথে আহ্বান করছিলেন মানুষকে। মোবারকপুরী অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে নবীজীর ধৈর্য, সহিষ্ণুতা এবং কষ্টকে বর্ণনা করেছেন, যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়। বিশেষ করে শাব-ই-আবু তালিবে কুরাইশদের অবরোধ এবং নবীজীর নিজের গোত্রের বিরোধিতা—এই ঘটনাগুলোতে তার ইমান এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস যে কত গভীর ছিল, তা লেখক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এসব সংগ্রাম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি আমাদের জীবনের দুঃসময়ে শক্তি খুঁজে পাওয়ার উপদেশ।
'আর রাহিকুল মাখতুম'-এর এক বিশেষ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ইসরাআ ও মেরাজের মহিমান্বিত ঘটনা, যেখানে নবীজী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। মোবারকপুরীর ভাষায় এই ঘটনাটির বর্ণনা এমন এক আধ্যাত্মিক অনুভূতি জাগায়, যা পাঠককে এক ধরণের আকাশছোঁয়া অভিজ্ঞতা দেয়। নবীজীর জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তটি ইসলামী ইতিহাসে বিশেষভাবে মূল্যবান, এবং লেখক তার ব্যাখ্যায় সেই মহিমান্বিত গাম্ভীর্যকে সংরক্ষণ করেছেন।
নবীজী (সা.)-এর হিজরত এবং মদিনার জীবন আরবের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। মোবারকপুরী অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মদিনায় নবীজীর নেতৃত্ব, তার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কৌশল, এবং সামাজিক সাম্যের প্রতিষ্ঠার গল্প বর্ণনা করেছেন। মদিনায় ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন, সেখানে আইন প্রণয়ন, এবং বিভিন্ন যুদ্ধে নবীজীর নেতৃত্ব—এগুলো পড়তে গিয়ে পাঠক এক নতুন ইসলামি জগতের সাথে পরিচিত হয়। বিশেষ করে বদর, উহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধের কাহিনিগুলো অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা পাঠকের মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন নবীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ। 'আর রাহিকুল মাখতুম'-এ নবীজীর চরিত্রের এমন সব দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। তার ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, সত্যবাদিতা, মানবতা এবং সর্বোপরি তার আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা আমাদের জীবনে এক অনুকরণীয় উদাহরণ।
'আর রাহিকুল মাখতুম' নিঃসন্দেহে সীরাত সাহিত্য জগতে এক অমূল্য রত্ন। এর প্রতিটি অধ্যায়ে নবীজীর (সা.) জীবনের এমন গভীর দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধু পাঠকের মনকে জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করে না, বরং হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে তোলে। যারা মহানবী (সা.)-এর জীবনী নিয়ে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি শুধু একটি বই নয়, বরং এটি এক হৃদয়গ্রাহী ভ্রমণ, যা নবীজীর প্রেমে গভীরভাবে মগ্ন হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
সবশেষে একটি কথা বলতেই হবে, সিরাত জানতে হলে 'আর রাহিকুল মাখতুম' মাস্টরিড একটি বই। আর রাসূলের (সা.) সিরাত ছাড়া আমাদের ব্যক্তি জীবন সুন্দর করা অসম্ভব