সুখের নাটাই
বই: সুখের নাটাইলেখক; আফরোজা হাসান প্রকাশনী :সমকালীন প্রকাশনগভীর সমুদ্রে ভীষণ ঝড়ের কবলে পড়া দিকবিদিকশুন্য হেলেদুলে ডুবতে থাকা জাহাজের যাত্রীদের কাছে সুদূর তটে থাকা একটি বাতিঘর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো কিছুটা অনুমান করতেই পারি আমরা। কিংবা প্রচন্ড খরায় যখন খালবিল নদীনালা শুকিয়ে যায়, ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয় তখন একপশলা বৃষ্টিও কত দামী হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই কথা পথভোলা মরুভূমির অভিযাত্রীদলের বেলাতেও খাটে। প্রচন্ড পানির পিপাসায় যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন হঠাৎ পানির সন্ধান কতটা স্বস্তির কারণ তা বোধকরি সবাই অনুধাবন করতেই পারছেন। আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার তেমনই মনে হয় বরাবর। যেদিন প্রথম তাঁর লেখা পড়লাম আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবি শব্দের বুননও এত মনোমুগ্ধকর হয়! হৃদয়ে ঝংকার তোলে, এত ভালোলাগা ছেয়ে যায় মনে! শব্দের পিঠে শব্দ বসিয়ে কী সুন্দর করেই যে তিনি বিনি সুতার মালার মত করে গেঁথে চলেন অপূর্ব সব লেখা মালা। আমি বরাবরই সুন্দর কথামালার পাগল। ছোট থেকে প্রচলিত লেখকদের বেশকিছু বইই পড়া হয়েছে কিন্তু জানি না কেন তাদের লেখা আমাকে টানেনি। আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার মনে হয়েছে যেন আমার জন্যই লেখা। অবশ্য যেই তাঁর লেখা পড়ে তার কাছে মনে হয় তার জন্যই লেখা। জীবনের নানান মোড়ে, অলিগলিতে চলতে গিয়ে নানান রকম সম্পর্কের বাঁধনে আমরা বাঁধা পড়ি। সঠিক জ্ঞান না থাকায় এই সম্পর্কে কখনো ভাটা পড়ে যায়, বৈরিতা তৈরি হয়, বিষিয়ে ওঠে মন। অথচ কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে কোন সম্পর্কের সাথে আমাদের ব্যবহার কেমন হবে তা জানা থাকলে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হত না। বরং সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হত। আফরোজা হাসানের অনেক লেখাতেই তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে কিভাবে সম্পর্কর ডোর মজবুত করা যায় তা বলেছেন। কিছু মানুষ থাকেন প্রচারবিমুখ, আড়ালেই থাকেন। নিভৃতে থেকে কোটি প্রাণে সঞ্চার করেন আশার আলো। আঁধার রাতে আলোর মশাল হাতে পথভোলাদের জন্য হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, তারা হন টর্চবেয়ারার। তারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। নীরবে কাজ করেন সবার অগোচরে, তারা হন সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর। মিইয়ে যাওয়া প্রাণগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করেন, হতাশাগ্রস্ত মনের জন্য হন আশার প্রদীপ, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য রঙধনু রাঙা স্বপ্নের সঞ্চার করেন মনে। আঁধারে নিমজ্জিত অন্তরগুলোতে এনে দেন সুহাসীনি ভোর, হাতে তুলে দেন এক মুঠো রোদ। আফরোজা হাসানকে আমার তেমনই মনে হয়। তার লেখাগুলো প্রতিটা প্রাণের জন্য হতে পারে আলোর মশাল, অন্তরে আলো জ্বালতে, জীবনের নানান জটিলতায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধাপরা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ইন শা আল্লাহ তার গাইডলাইন সত্যি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছি।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: সুখের নাটাই
লেখক; আফরোজা হাসান
প্রকাশনী :সমকালীন প্রকাশন
গভীর সমুদ্রে ভীষণ ঝড়ের কবলে পড়া দিকবিদিকশুন্য হেলেদুলে ডুবতে থাকা জাহাজের যাত্রীদের কাছে সুদূর তটে থাকা একটি বাতিঘর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো কিছুটা অনুমান করতেই পারি আমরা।
কিংবা প্রচন্ড খরায় যখন খালবিল নদীনালা শুকিয়ে যায়, ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয় তখন একপশলা বৃষ্টিও কত দামী হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একই কথা পথভোলা মরুভূমির অভিযাত্রীদলের বেলাতেও খাটে। প্রচন্ড পানির পিপাসায় যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন হঠাৎ পানির সন্ধান কতটা স্বস্তির কারণ তা বোধকরি সবাই অনুধাবন করতেই পারছেন।
আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার তেমনই মনে হয় বরাবর। যেদিন প্রথম তাঁর লেখা পড়লাম আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবি শব্দের বুননও এত মনোমুগ্ধকর হয়! হৃদয়ে ঝংকার তোলে, এত ভালোলাগা ছেয়ে যায় মনে! শব্দের পিঠে শব্দ বসিয়ে কী সুন্দর করেই যে তিনি বিনি সুতার মালার মত করে গেঁথে চলেন অপূর্ব সব লেখা মালা।
আমি বরাবরই সুন্দর কথামালার পাগল। ছোট থেকে প্রচলিত লেখকদের বেশকিছু বইই পড়া হয়েছে কিন্তু জানি না কেন তাদের লেখা আমাকে টানেনি। আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার মনে হয়েছে যেন আমার জন্যই লেখা। অবশ্য যেই তাঁর লেখা পড়ে তার কাছে মনে হয় তার জন্যই লেখা।
জীবনের নানান মোড়ে, অলিগলিতে চলতে গিয়ে নানান রকম সম্পর্কের বাঁধনে আমরা বাঁধা পড়ি। সঠিক জ্ঞান না থাকায় এই সম্পর্কে কখনো ভাটা পড়ে যায়, বৈরিতা তৈরি হয়, বিষিয়ে ওঠে মন। অথচ কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে কোন সম্পর্কের সাথে আমাদের ব্যবহার কেমন হবে তা জানা থাকলে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হত না। বরং সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হত। আফরোজা হাসানের অনেক লেখাতেই তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে কিভাবে সম্পর্কর ডোর মজবুত করা যায় তা বলেছেন।
কিছু মানুষ থাকেন প্রচারবিমুখ, আড়ালেই থাকেন। নিভৃতে থেকে কোটি প্রাণে সঞ্চার করেন আশার আলো। আঁধার রাতে আলোর মশাল হাতে পথভোলাদের জন্য হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, তারা হন টর্চবেয়ারার। তারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। নীরবে কাজ করেন সবার অগোচরে, তারা হন সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর। মিইয়ে যাওয়া প্রাণগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করেন, হতাশাগ্রস্ত মনের জন্য হন আশার প্রদীপ, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য রঙধনু রাঙা স্বপ্নের সঞ্চার করেন মনে। আঁধারে নিমজ্জিত অন্তরগুলোতে এনে দেন সুহাসীনি ভোর, হাতে তুলে দেন এক মুঠো রোদ। আফরোজা হাসানকে আমার তেমনই মনে হয়। তার লেখাগুলো প্রতিটা প্রাণের জন্য হতে পারে আলোর মশাল, অন্তরে আলো জ্বালতে, জীবনের নানান জটিলতায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধাপরা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ইন শা আল্লাহ তার গাইডলাইন সত্যি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছি।
লেখক; আফরোজা হাসান
প্রকাশনী :সমকালীন প্রকাশন
গভীর সমুদ্রে ভীষণ ঝড়ের কবলে পড়া দিকবিদিকশুন্য হেলেদুলে ডুবতে থাকা জাহাজের যাত্রীদের কাছে সুদূর তটে থাকা একটি বাতিঘর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো কিছুটা অনুমান করতেই পারি আমরা।
কিংবা প্রচন্ড খরায় যখন খালবিল নদীনালা শুকিয়ে যায়, ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয় তখন একপশলা বৃষ্টিও কত দামী হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একই কথা পথভোলা মরুভূমির অভিযাত্রীদলের বেলাতেও খাটে। প্রচন্ড পানির পিপাসায় যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন হঠাৎ পানির সন্ধান কতটা স্বস্তির কারণ তা বোধকরি সবাই অনুধাবন করতেই পারছেন।
আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার তেমনই মনে হয় বরাবর। যেদিন প্রথম তাঁর লেখা পড়লাম আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবি শব্দের বুননও এত মনোমুগ্ধকর হয়! হৃদয়ে ঝংকার তোলে, এত ভালোলাগা ছেয়ে যায় মনে! শব্দের পিঠে শব্দ বসিয়ে কী সুন্দর করেই যে তিনি বিনি সুতার মালার মত করে গেঁথে চলেন অপূর্ব সব লেখা মালা।
আমি বরাবরই সুন্দর কথামালার পাগল। ছোট থেকে প্রচলিত লেখকদের বেশকিছু বইই পড়া হয়েছে কিন্তু জানি না কেন তাদের লেখা আমাকে টানেনি। আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার মনে হয়েছে যেন আমার জন্যই লেখা। অবশ্য যেই তাঁর লেখা পড়ে তার কাছে মনে হয় তার জন্যই লেখা।
জীবনের নানান মোড়ে, অলিগলিতে চলতে গিয়ে নানান রকম সম্পর্কের বাঁধনে আমরা বাঁধা পড়ি। সঠিক জ্ঞান না থাকায় এই সম্পর্কে কখনো ভাটা পড়ে যায়, বৈরিতা তৈরি হয়, বিষিয়ে ওঠে মন। অথচ কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে কোন সম্পর্কের সাথে আমাদের ব্যবহার কেমন হবে তা জানা থাকলে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হত না। বরং সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হত। আফরোজা হাসানের অনেক লেখাতেই তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে কিভাবে সম্পর্কর ডোর মজবুত করা যায় তা বলেছেন।
কিছু মানুষ থাকেন প্রচারবিমুখ, আড়ালেই থাকেন। নিভৃতে থেকে কোটি প্রাণে সঞ্চার করেন আশার আলো। আঁধার রাতে আলোর মশাল হাতে পথভোলাদের জন্য হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, তারা হন টর্চবেয়ারার। তারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। নীরবে কাজ করেন সবার অগোচরে, তারা হন সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর। মিইয়ে যাওয়া প্রাণগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করেন, হতাশাগ্রস্ত মনের জন্য হন আশার প্রদীপ, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য রঙধনু রাঙা স্বপ্নের সঞ্চার করেন মনে। আঁধারে নিমজ্জিত অন্তরগুলোতে এনে দেন সুহাসীনি ভোর, হাতে তুলে দেন এক মুঠো রোদ। আফরোজা হাসানকে আমার তেমনই মনে হয়। তার লেখাগুলো প্রতিটা প্রাণের জন্য হতে পারে আলোর মশাল, অন্তরে আলো জ্বালতে, জীবনের নানান জটিলতায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধাপরা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ইন শা আল্লাহ তার গাইডলাইন সত্যি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছি।
সুখের নাটাই
110 BDT160 BDTSave 50 BDT
বই: সুখের নাটাই
লেখক; আফরোজা হাসান
প্রকাশনী :সমকালীন প্রকাশন
গভীর সমুদ্রে ভীষণ ঝড়ের কবলে পড়া দিকবিদিকশুন্য হেলেদুলে ডুবতে থাকা জাহাজের যাত্রীদের কাছে সুদূর তটে থাকা একটি বাতিঘর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো কিছুটা অনুমান করতেই পারি আমরা।
কিংবা প্রচন্ড খরায় যখন খালবিল নদীনালা শুকিয়ে যায়, ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয় তখন একপশলা বৃষ্টিও কত দামী হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একই কথা পথভোলা মরুভূমির অভিযাত্রীদলের বেলাতেও খাটে। প্রচন্ড পানির পিপাসায় যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন হঠাৎ পানির সন্ধান কতটা স্বস্তির কারণ তা বোধকরি সবাই অনুধাবন করতেই পারছেন।
আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার তেমনই মনে হয় বরাবর। যেদিন প্রথম তাঁর লেখা পড়লাম আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবি শব্দের বুননও এত মনোমুগ্ধকর হয়! হৃদয়ে ঝংকার তোলে, এত ভালোলাগা ছেয়ে যায় মনে! শব্দের পিঠে শব্দ বসিয়ে কী সুন্দর করেই যে তিনি বিনি সুতার মালার মত করে গেঁথে চলেন অপূর্ব সব লেখা মালা।
আমি বরাবরই সুন্দর কথামালার পাগল। ছোট থেকে প্রচলিত লেখকদের বেশকিছু বইই পড়া হয়েছে কিন্তু জানি না কেন তাদের লেখা আমাকে টানেনি। আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার মনে হয়েছে যেন আমার জন্যই লেখা। অবশ্য যেই তাঁর লেখা পড়ে তার কাছে মনে হয় তার জন্যই লেখা।
জীবনের নানান মোড়ে, অলিগলিতে চলতে গিয়ে নানান রকম সম্পর্কের বাঁধনে আমরা বাঁধা পড়ি। সঠিক জ্ঞান না থাকায় এই সম্পর্কে কখনো ভাটা পড়ে যায়, বৈরিতা তৈরি হয়, বিষিয়ে ওঠে মন। অথচ কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে কোন সম্পর্কের সাথে আমাদের ব্যবহার কেমন হবে তা জানা থাকলে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হত না। বরং সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হত। আফরোজা হাসানের অনেক লেখাতেই তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে কিভাবে সম্পর্কর ডোর মজবুত করা যায় তা বলেছেন।
কিছু মানুষ থাকেন প্রচারবিমুখ, আড়ালেই থাকেন। নিভৃতে থেকে কোটি প্রাণে সঞ্চার করেন আশার আলো। আঁধার রাতে আলোর মশাল হাতে পথভোলাদের জন্য হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, তারা হন টর্চবেয়ারার। তারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। নীরবে কাজ করেন সবার অগোচরে, তারা হন সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর। মিইয়ে যাওয়া প্রাণগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করেন, হতাশাগ্রস্ত মনের জন্য হন আশার প্রদীপ, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য রঙধনু রাঙা স্বপ্নের সঞ্চার করেন মনে। আঁধারে নিমজ্জিত অন্তরগুলোতে এনে দেন সুহাসীনি ভোর, হাতে তুলে দেন এক মুঠো রোদ। আফরোজা হাসানকে আমার তেমনই মনে হয়। তার লেখাগুলো প্রতিটা প্রাণের জন্য হতে পারে আলোর মশাল, অন্তরে আলো জ্বালতে, জীবনের নানান জটিলতায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধাপরা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ইন শা আল্লাহ তার গাইডলাইন সত্যি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছি।
লেখক; আফরোজা হাসান
প্রকাশনী :সমকালীন প্রকাশন
গভীর সমুদ্রে ভীষণ ঝড়ের কবলে পড়া দিকবিদিকশুন্য হেলেদুলে ডুবতে থাকা জাহাজের যাত্রীদের কাছে সুদূর তটে থাকা একটি বাতিঘর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো কিছুটা অনুমান করতেই পারি আমরা।
কিংবা প্রচন্ড খরায় যখন খালবিল নদীনালা শুকিয়ে যায়, ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয় তখন একপশলা বৃষ্টিও কত দামী হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
একই কথা পথভোলা মরুভূমির অভিযাত্রীদলের বেলাতেও খাটে। প্রচন্ড পানির পিপাসায় যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন হঠাৎ পানির সন্ধান কতটা স্বস্তির কারণ তা বোধকরি সবাই অনুধাবন করতেই পারছেন।
আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার তেমনই মনে হয় বরাবর। যেদিন প্রথম তাঁর লেখা পড়লাম আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবি শব্দের বুননও এত মনোমুগ্ধকর হয়! হৃদয়ে ঝংকার তোলে, এত ভালোলাগা ছেয়ে যায় মনে! শব্দের পিঠে শব্দ বসিয়ে কী সুন্দর করেই যে তিনি বিনি সুতার মালার মত করে গেঁথে চলেন অপূর্ব সব লেখা মালা।
আমি বরাবরই সুন্দর কথামালার পাগল। ছোট থেকে প্রচলিত লেখকদের বেশকিছু বইই পড়া হয়েছে কিন্তু জানি না কেন তাদের লেখা আমাকে টানেনি। আফরোজা হাসানের লেখাগুলোকে আমার মনে হয়েছে যেন আমার জন্যই লেখা। অবশ্য যেই তাঁর লেখা পড়ে তার কাছে মনে হয় তার জন্যই লেখা।
জীবনের নানান মোড়ে, অলিগলিতে চলতে গিয়ে নানান রকম সম্পর্কের বাঁধনে আমরা বাঁধা পড়ি। সঠিক জ্ঞান না থাকায় এই সম্পর্কে কখনো ভাটা পড়ে যায়, বৈরিতা তৈরি হয়, বিষিয়ে ওঠে মন। অথচ কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে কোন সম্পর্কের সাথে আমাদের ব্যবহার কেমন হবে তা জানা থাকলে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হত না। বরং সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হত। আফরোজা হাসানের অনেক লেখাতেই তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে কিভাবে সম্পর্কর ডোর মজবুত করা যায় তা বলেছেন।
কিছু মানুষ থাকেন প্রচারবিমুখ, আড়ালেই থাকেন। নিভৃতে থেকে কোটি প্রাণে সঞ্চার করেন আশার আলো। আঁধার রাতে আলোর মশাল হাতে পথভোলাদের জন্য হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, তারা হন টর্চবেয়ারার। তারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। নীরবে কাজ করেন সবার অগোচরে, তারা হন সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর। মিইয়ে যাওয়া প্রাণগুলোতে প্রাণের সঞ্চার করেন, হতাশাগ্রস্ত মনের জন্য হন আশার প্রদীপ, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য রঙধনু রাঙা স্বপ্নের সঞ্চার করেন মনে। আঁধারে নিমজ্জিত অন্তরগুলোতে এনে দেন সুহাসীনি ভোর, হাতে তুলে দেন এক মুঠো রোদ। আফরোজা হাসানকে আমার তেমনই মনে হয়। তার লেখাগুলো প্রতিটা প্রাণের জন্য হতে পারে আলোর মশাল, অন্তরে আলো জ্বালতে, জীবনের নানান জটিলতায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধাপরা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ইন শা আল্লাহ তার গাইডলাইন সত্যি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছি।

