খেয়াঘাট
বই: খেয়া ঘাটলেখকঃ এনামুল হক ইবনে ইউসুফপ্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশনখেয়াঘাট’ দুনিয়া নামক এক ধু ধু মরিচীকাময় প্রান্তর থেকে উত্তরণের পথ। নিয়তি নির্ধারকের বেঁধে দেয়া সরল-স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এ ধরায় মানুষের আগমন। মানুষ আসে আবার চলে যায়। যেমনটা খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু মানুষ কি চাইলেই পারি দিতে পারে উত্তাল সেই তরঙ্গ রাশিমালা। যার অন্তিম রহস্যের মাঝে জীবশাফি নিগুঢ়তম সেই সত্যটি লুকিয়ে আছে; যার নাম জবাবদিহিতা। .“উদ্দেশ্যহীন জীবন বৈঠাহীন নৌকার মতো” ছোটবেলায় ‘এইম ইন লাইফ’ রচনায় আমরা নিজেদের একটা উদ্দেশ্য স্থির করে রেখেছিলাম। চলতি পথে হোঁচট খেয়ে কেউ কেউ ছিটকে পড়লেও কারও কারও ভাগ্য কিন্তু ঠিক সায় দিয়েছিল৷ কিন্তু আমি কি ভুলে গেছি, রুহের জগতে আমার রবও আমাকে একটা ‘পারপাস অব লাইফ’ বাতলে দিয়েছিলেন? তিনি জানতেন, দুনিয়ার চাকচিক্য আমায় নিজ উদ্দেশ্যকে ভুলিয়ে দেবে। মোহ ও মাদকতায় আমি ডুবে যাব। ভুলে যাব কেন এলাম এই ধরায়? তাই তিনি পুনরায় ওহী পাঠালেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটাই আমাদের আগমনের একমাত্র উদ্দেশ্য। পারপাস অব লাইফ। .কিন্তু দুনিয়ার মোহনীয় রূপ-সৌন্দর্য আমার চিন্তা ও মননের ওপর এমন এক ইন্দ্রজাল বিছিয়ে দিয়েছে যে, সত্য এসে গেছে জেনেও আমি তাকে অস্বীকার করে যাচ্ছি। পাশ কাটিয়ে চলছি। তবুও আমার রব আমায় ভুলে যাননি। তিনি আমায় বিপদে ফেলে। দুঃখে নিমজ্জিত করে। অসুস্থতায় ভুগিয়ে তাঁর নিকট ফেরাতে চান। তবু যৌবনের উত্তাল সমুদ্রে নাবিক বারবারই পথ হারিয়ে ফেলছে। উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে যোজন যোজন দূরে। .অতঃপর কেউ কেউ যখন প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ফিরে আসছে তিরে, বেলা তখন পড়ে এসেছে। ঘাটে বাঁধা শেষ নৌকোটা এবার যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু পথিকের কাছে ঘাটের কড়ি কোথায়? কড়ি বিনে মাঝি কি নেবেন তাকে ওপারে? পৌঁছে দেবেন মাঞ্জিলে মাকসাদে! .বক্ষমাণ বইটি মূলত একটি উপন্যাস। কল্পলোকের রঙ নয় বরং বাস্তবতার ভিত্তিই এই উপন্যাসের প্লট। জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে মলাটবদ্ব করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। মানবীয় সকল সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে এ বই যেন তার উদ্দেশ্য পূরণে কামিয়াব হতে পারে। দিনশেষে রব্বুল আলামিনের নিকট এটাই আমাদের কামনা।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: খেয়া ঘাট
লেখকঃ এনামুল হক ইবনে ইউসুফ
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
খেয়াঘাট’ দুনিয়া নামক এক ধু ধু মরিচীকাময় প্রান্তর থেকে উত্তরণের পথ। নিয়তি নির্ধারকের বেঁধে দেয়া সরল-স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এ ধরায় মানুষের আগমন। মানুষ আসে আবার চলে যায়। যেমনটা খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু মানুষ কি চাইলেই পারি দিতে পারে উত্তাল সেই তরঙ্গ রাশিমালা। যার অন্তিম রহস্যের মাঝে জীবশাফি নিগুঢ়তম সেই সত্যটি লুকিয়ে আছে; যার নাম জবাবদিহিতা।
.
“উদ্দেশ্যহীন জীবন বৈঠাহীন নৌকার মতো” ছোটবেলায় ‘এইম ইন লাইফ’ রচনায় আমরা নিজেদের একটা উদ্দেশ্য স্থির করে রেখেছিলাম। চলতি পথে হোঁচট খেয়ে কেউ কেউ ছিটকে পড়লেও কারও কারও ভাগ্য কিন্তু ঠিক সায় দিয়েছিল৷ কিন্তু আমি কি ভুলে গেছি, রুহের জগতে আমার রবও আমাকে একটা ‘পারপাস অব লাইফ’ বাতলে দিয়েছিলেন? তিনি জানতেন, দুনিয়ার চাকচিক্য আমায় নিজ উদ্দেশ্যকে ভুলিয়ে দেবে। মোহ ও মাদকতায় আমি ডুবে যাব। ভুলে যাব কেন এলাম এই ধরায়? তাই তিনি পুনরায় ওহী পাঠালেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটাই আমাদের আগমনের একমাত্র উদ্দেশ্য। পারপাস অব লাইফ।
.
কিন্তু দুনিয়ার মোহনীয় রূপ-সৌন্দর্য আমার চিন্তা ও মননের ওপর এমন এক ইন্দ্রজাল বিছিয়ে দিয়েছে যে, সত্য এসে গেছে জেনেও আমি তাকে অস্বীকার করে যাচ্ছি। পাশ কাটিয়ে চলছি। তবুও আমার রব আমায় ভুলে যাননি। তিনি আমায় বিপদে ফেলে। দুঃখে নিমজ্জিত করে। অসুস্থতায় ভুগিয়ে তাঁর নিকট ফেরাতে চান। তবু যৌবনের উত্তাল সমুদ্রে নাবিক বারবারই পথ হারিয়ে ফেলছে। উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে যোজন যোজন দূরে।
.
অতঃপর কেউ কেউ যখন প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ফিরে আসছে তিরে, বেলা তখন পড়ে এসেছে। ঘাটে বাঁধা শেষ নৌকোটা এবার যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু পথিকের কাছে ঘাটের কড়ি কোথায়? কড়ি বিনে মাঝি কি নেবেন তাকে ওপারে? পৌঁছে দেবেন মাঞ্জিলে মাকসাদে!
.
বক্ষমাণ বইটি মূলত একটি উপন্যাস। কল্পলোকের রঙ নয় বরং বাস্তবতার ভিত্তিই এই উপন্যাসের প্লট। জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে মলাটবদ্ব করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। মানবীয় সকল সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে এ বই যেন তার উদ্দেশ্য পূরণে কামিয়াব হতে পারে। দিনশেষে রব্বুল আলামিনের নিকট এটাই আমাদের কামনা।
লেখকঃ এনামুল হক ইবনে ইউসুফ
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
খেয়াঘাট’ দুনিয়া নামক এক ধু ধু মরিচীকাময় প্রান্তর থেকে উত্তরণের পথ। নিয়তি নির্ধারকের বেঁধে দেয়া সরল-স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এ ধরায় মানুষের আগমন। মানুষ আসে আবার চলে যায়। যেমনটা খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু মানুষ কি চাইলেই পারি দিতে পারে উত্তাল সেই তরঙ্গ রাশিমালা। যার অন্তিম রহস্যের মাঝে জীবশাফি নিগুঢ়তম সেই সত্যটি লুকিয়ে আছে; যার নাম জবাবদিহিতা।
.
“উদ্দেশ্যহীন জীবন বৈঠাহীন নৌকার মতো” ছোটবেলায় ‘এইম ইন লাইফ’ রচনায় আমরা নিজেদের একটা উদ্দেশ্য স্থির করে রেখেছিলাম। চলতি পথে হোঁচট খেয়ে কেউ কেউ ছিটকে পড়লেও কারও কারও ভাগ্য কিন্তু ঠিক সায় দিয়েছিল৷ কিন্তু আমি কি ভুলে গেছি, রুহের জগতে আমার রবও আমাকে একটা ‘পারপাস অব লাইফ’ বাতলে দিয়েছিলেন? তিনি জানতেন, দুনিয়ার চাকচিক্য আমায় নিজ উদ্দেশ্যকে ভুলিয়ে দেবে। মোহ ও মাদকতায় আমি ডুবে যাব। ভুলে যাব কেন এলাম এই ধরায়? তাই তিনি পুনরায় ওহী পাঠালেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটাই আমাদের আগমনের একমাত্র উদ্দেশ্য। পারপাস অব লাইফ।
.
কিন্তু দুনিয়ার মোহনীয় রূপ-সৌন্দর্য আমার চিন্তা ও মননের ওপর এমন এক ইন্দ্রজাল বিছিয়ে দিয়েছে যে, সত্য এসে গেছে জেনেও আমি তাকে অস্বীকার করে যাচ্ছি। পাশ কাটিয়ে চলছি। তবুও আমার রব আমায় ভুলে যাননি। তিনি আমায় বিপদে ফেলে। দুঃখে নিমজ্জিত করে। অসুস্থতায় ভুগিয়ে তাঁর নিকট ফেরাতে চান। তবু যৌবনের উত্তাল সমুদ্রে নাবিক বারবারই পথ হারিয়ে ফেলছে। উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে যোজন যোজন দূরে।
.
অতঃপর কেউ কেউ যখন প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ফিরে আসছে তিরে, বেলা তখন পড়ে এসেছে। ঘাটে বাঁধা শেষ নৌকোটা এবার যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু পথিকের কাছে ঘাটের কড়ি কোথায়? কড়ি বিনে মাঝি কি নেবেন তাকে ওপারে? পৌঁছে দেবেন মাঞ্জিলে মাকসাদে!
.
বক্ষমাণ বইটি মূলত একটি উপন্যাস। কল্পলোকের রঙ নয় বরং বাস্তবতার ভিত্তিই এই উপন্যাসের প্লট। জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে মলাটবদ্ব করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। মানবীয় সকল সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে এ বই যেন তার উদ্দেশ্য পূরণে কামিয়াব হতে পারে। দিনশেষে রব্বুল আলামিনের নিকট এটাই আমাদের কামনা।
খেয়াঘাট
165 BDT300 BDTSave 135 BDT
1
বই: খেয়া ঘাট
লেখকঃ এনামুল হক ইবনে ইউসুফ
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
খেয়াঘাট’ দুনিয়া নামক এক ধু ধু মরিচীকাময় প্রান্তর থেকে উত্তরণের পথ। নিয়তি নির্ধারকের বেঁধে দেয়া সরল-স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এ ধরায় মানুষের আগমন। মানুষ আসে আবার চলে যায়। যেমনটা খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু মানুষ কি চাইলেই পারি দিতে পারে উত্তাল সেই তরঙ্গ রাশিমালা। যার অন্তিম রহস্যের মাঝে জীবশাফি নিগুঢ়তম সেই সত্যটি লুকিয়ে আছে; যার নাম জবাবদিহিতা।
.
“উদ্দেশ্যহীন জীবন বৈঠাহীন নৌকার মতো” ছোটবেলায় ‘এইম ইন লাইফ’ রচনায় আমরা নিজেদের একটা উদ্দেশ্য স্থির করে রেখেছিলাম। চলতি পথে হোঁচট খেয়ে কেউ কেউ ছিটকে পড়লেও কারও কারও ভাগ্য কিন্তু ঠিক সায় দিয়েছিল৷ কিন্তু আমি কি ভুলে গেছি, রুহের জগতে আমার রবও আমাকে একটা ‘পারপাস অব লাইফ’ বাতলে দিয়েছিলেন? তিনি জানতেন, দুনিয়ার চাকচিক্য আমায় নিজ উদ্দেশ্যকে ভুলিয়ে দেবে। মোহ ও মাদকতায় আমি ডুবে যাব। ভুলে যাব কেন এলাম এই ধরায়? তাই তিনি পুনরায় ওহী পাঠালেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটাই আমাদের আগমনের একমাত্র উদ্দেশ্য। পারপাস অব লাইফ।
.
কিন্তু দুনিয়ার মোহনীয় রূপ-সৌন্দর্য আমার চিন্তা ও মননের ওপর এমন এক ইন্দ্রজাল বিছিয়ে দিয়েছে যে, সত্য এসে গেছে জেনেও আমি তাকে অস্বীকার করে যাচ্ছি। পাশ কাটিয়ে চলছি। তবুও আমার রব আমায় ভুলে যাননি। তিনি আমায় বিপদে ফেলে। দুঃখে নিমজ্জিত করে। অসুস্থতায় ভুগিয়ে তাঁর নিকট ফেরাতে চান। তবু যৌবনের উত্তাল সমুদ্রে নাবিক বারবারই পথ হারিয়ে ফেলছে। উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে যোজন যোজন দূরে।
.
অতঃপর কেউ কেউ যখন প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ফিরে আসছে তিরে, বেলা তখন পড়ে এসেছে। ঘাটে বাঁধা শেষ নৌকোটা এবার যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু পথিকের কাছে ঘাটের কড়ি কোথায়? কড়ি বিনে মাঝি কি নেবেন তাকে ওপারে? পৌঁছে দেবেন মাঞ্জিলে মাকসাদে!
.
বক্ষমাণ বইটি মূলত একটি উপন্যাস। কল্পলোকের রঙ নয় বরং বাস্তবতার ভিত্তিই এই উপন্যাসের প্লট। জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে মলাটবদ্ব করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। মানবীয় সকল সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে এ বই যেন তার উদ্দেশ্য পূরণে কামিয়াব হতে পারে। দিনশেষে রব্বুল আলামিনের নিকট এটাই আমাদের কামনা।
লেখকঃ এনামুল হক ইবনে ইউসুফ
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
খেয়াঘাট’ দুনিয়া নামক এক ধু ধু মরিচীকাময় প্রান্তর থেকে উত্তরণের পথ। নিয়তি নির্ধারকের বেঁধে দেয়া সরল-স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এ ধরায় মানুষের আগমন। মানুষ আসে আবার চলে যায়। যেমনটা খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার হয়। কিন্তু মানুষ কি চাইলেই পারি দিতে পারে উত্তাল সেই তরঙ্গ রাশিমালা। যার অন্তিম রহস্যের মাঝে জীবশাফি নিগুঢ়তম সেই সত্যটি লুকিয়ে আছে; যার নাম জবাবদিহিতা।
.
“উদ্দেশ্যহীন জীবন বৈঠাহীন নৌকার মতো” ছোটবেলায় ‘এইম ইন লাইফ’ রচনায় আমরা নিজেদের একটা উদ্দেশ্য স্থির করে রেখেছিলাম। চলতি পথে হোঁচট খেয়ে কেউ কেউ ছিটকে পড়লেও কারও কারও ভাগ্য কিন্তু ঠিক সায় দিয়েছিল৷ কিন্তু আমি কি ভুলে গেছি, রুহের জগতে আমার রবও আমাকে একটা ‘পারপাস অব লাইফ’ বাতলে দিয়েছিলেন? তিনি জানতেন, দুনিয়ার চাকচিক্য আমায় নিজ উদ্দেশ্যকে ভুলিয়ে দেবে। মোহ ও মাদকতায় আমি ডুবে যাব। ভুলে যাব কেন এলাম এই ধরায়? তাই তিনি পুনরায় ওহী পাঠালেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন, তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটাই আমাদের আগমনের একমাত্র উদ্দেশ্য। পারপাস অব লাইফ।
.
কিন্তু দুনিয়ার মোহনীয় রূপ-সৌন্দর্য আমার চিন্তা ও মননের ওপর এমন এক ইন্দ্রজাল বিছিয়ে দিয়েছে যে, সত্য এসে গেছে জেনেও আমি তাকে অস্বীকার করে যাচ্ছি। পাশ কাটিয়ে চলছি। তবুও আমার রব আমায় ভুলে যাননি। তিনি আমায় বিপদে ফেলে। দুঃখে নিমজ্জিত করে। অসুস্থতায় ভুগিয়ে তাঁর নিকট ফেরাতে চান। তবু যৌবনের উত্তাল সমুদ্রে নাবিক বারবারই পথ হারিয়ে ফেলছে। উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে যোজন যোজন দূরে।
.
অতঃপর কেউ কেউ যখন প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ফিরে আসছে তিরে, বেলা তখন পড়ে এসেছে। ঘাটে বাঁধা শেষ নৌকোটা এবার যাত্রা শুরু করবে। কিন্তু পথিকের কাছে ঘাটের কড়ি কোথায়? কড়ি বিনে মাঝি কি নেবেন তাকে ওপারে? পৌঁছে দেবেন মাঞ্জিলে মাকসাদে!
.
বক্ষমাণ বইটি মূলত একটি উপন্যাস। কল্পলোকের রঙ নয় বরং বাস্তবতার ভিত্তিই এই উপন্যাসের প্লট। জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে মলাটবদ্ব করার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। মানবীয় সকল সীমাবদ্ধতা পেছনে ফেলে এ বই যেন তার উদ্দেশ্য পূরণে কামিয়াব হতে পারে। দিনশেষে রব্বুল আলামিনের নিকট এটাই আমাদের কামনা।