রোযা ও যাকাতের মাসায়েল
বই: রোযা ও যাকাতের মাসায়েল লেখক: তানজীল আরেফীন আদনানপ্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশনযাকাত সংক্রান্ত মাসায়েলের ব্যাপারে মুফতী তাকী উসমানী হাফি. বলেন,‘সাধারণত: মানুষ পবিত্র রমাযান মাসে যাকাত প্রদান করে থাকে। যার কারণ হচ্ছে- হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র রমাযানে একটি ফরযের সওয়াব সত্তরগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। কাজেই যাকাতও যেহেতু ফরয; অতএব তা রমাযানে আদায় করা হলে তার সওয়াবও সত্তর গুণ বেশী পাওয়া যাবে। এ কথাটি স্বস্থানে সম্পূর্ণ সঠিক এবং এ আগ্রহও প্রশংসনীয়। কিন্তু যদি কারো ‘সাহেবে নেসাব’ হওয়ার তারিখ জানা থাকে তবে শুধুমাত্র ওই সওয়াবের লক্ষ্যে সে ব্যক্তি রমাযানকে যাকাত প্রদানের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারে না। বরং তার করণীয় হচ্ছে, 'সাহেবে নেসাব' হওয়ার তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করা। অবশ্য যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে এ পন্থাটি অবলম্বন করতে পারে যে, অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করতে থাকবে। অবশিষ্ট যা থাকবে সেটা পবিত্র রমাযান মাসে আদায় করবে। তবে হ্যাঁ, যদি তারিখ মনে না থাকে, তবে তার জন্য পবিত্র রমাযানের যে কোন তারিখ নির্ধারণ করার অবকাশ আছে। অবশ্য সতর্কতার খাতিরে কিছু বেশি আদায় করবে। যাতে যদি তারিখ অগ্র-পশ্চাৎ করার দরুন কোনো তারতম্য দেখা দেয় সেটাও পুরো হয়ে যায়। অতঃপর একবার যে তারিখ নির্ধারণ করবে পরবর্তীতে প্রতি বৎসর ওই নির্দিষ্ট তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করবে। আর দেখবে যে, এ তারিখে আমার কি কি মূলধন আছে। ওই তারিখে নগদ টাকাই বা কত আছে? যদি স্বর্ণ-রৌপ্য বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই তারিখেরই রৌপ্য ও স্বর্ণের মূল্য | বিনা মূল্য উদ্দেশ্য, ক্রয় মূল্য নয়, দেখবে, শেয়ার থাকলে সেই তারিখের শেয়ারের মূল্য দেখবে, স্টকের মূল্য লাগাতে চাইলে ওই তারিখেরই স্টকের মূল লাগাতে হবে। আর পরবর্তী প্রতি বৎসর ওই তারিখেই হিসাব করে যাকাত আদায় করা উচিত। সেই তারিখের আগে পিছে করা অনুচিত। (আহকামে যাকাত, মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী ও মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী পু: ৯০)
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: রোযা ও যাকাতের মাসায়েল
লেখক: তানজীল আরেফীন আদনান
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
যাকাত সংক্রান্ত মাসায়েলের ব্যাপারে মুফতী তাকী উসমানী হাফি. বলেন,
‘সাধারণত: মানুষ পবিত্র রমাযান মাসে যাকাত প্রদান করে থাকে। যার কারণ হচ্ছে- হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র রমাযানে একটি ফরযের সওয়াব সত্তরগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। কাজেই যাকাতও যেহেতু ফরয; অতএব তা রমাযানে আদায় করা হলে তার সওয়াবও সত্তর গুণ বেশী পাওয়া যাবে। এ কথাটি স্বস্থানে সম্পূর্ণ সঠিক এবং এ আগ্রহও প্রশংসনীয়। কিন্তু যদি কারো ‘সাহেবে নেসাব’ হওয়ার তারিখ জানা থাকে তবে শুধুমাত্র ওই সওয়াবের লক্ষ্যে সে ব্যক্তি রমাযানকে যাকাত প্রদানের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারে না। বরং তার করণীয় হচ্ছে, 'সাহেবে নেসাব' হওয়ার তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করা। অবশ্য যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে এ পন্থাটি অবলম্বন করতে পারে যে, অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করতে থাকবে। অবশিষ্ট যা থাকবে সেটা পবিত্র রমাযান মাসে আদায় করবে। তবে হ্যাঁ, যদি তারিখ মনে না থাকে, তবে তার জন্য পবিত্র রমাযানের যে কোন তারিখ নির্ধারণ করার অবকাশ আছে। অবশ্য সতর্কতার খাতিরে কিছু বেশি আদায় করবে। যাতে যদি তারিখ অগ্র-পশ্চাৎ করার দরুন কোনো তারতম্য দেখা দেয় সেটাও পুরো হয়ে যায়। অতঃপর একবার যে তারিখ নির্ধারণ করবে পরবর্তীতে প্রতি বৎসর ওই নির্দিষ্ট তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করবে। আর দেখবে যে, এ তারিখে আমার কি কি মূলধন আছে। ওই তারিখে নগদ টাকাই বা কত আছে? যদি স্বর্ণ-রৌপ্য বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই তারিখেরই রৌপ্য ও স্বর্ণের মূল্য | বিনা মূল্য উদ্দেশ্য, ক্রয় মূল্য নয়, দেখবে, শেয়ার থাকলে সেই তারিখের শেয়ারের মূল্য দেখবে, স্টকের মূল্য লাগাতে চাইলে ওই তারিখেরই স্টকের মূল লাগাতে হবে। আর পরবর্তী প্রতি বৎসর ওই তারিখেই হিসাব করে যাকাত আদায় করা উচিত। সেই তারিখের আগে পিছে করা অনুচিত।
(আহকামে যাকাত, মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী ও মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী পু: ৯০)
লেখক: তানজীল আরেফীন আদনান
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
যাকাত সংক্রান্ত মাসায়েলের ব্যাপারে মুফতী তাকী উসমানী হাফি. বলেন,
‘সাধারণত: মানুষ পবিত্র রমাযান মাসে যাকাত প্রদান করে থাকে। যার কারণ হচ্ছে- হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র রমাযানে একটি ফরযের সওয়াব সত্তরগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। কাজেই যাকাতও যেহেতু ফরয; অতএব তা রমাযানে আদায় করা হলে তার সওয়াবও সত্তর গুণ বেশী পাওয়া যাবে। এ কথাটি স্বস্থানে সম্পূর্ণ সঠিক এবং এ আগ্রহও প্রশংসনীয়। কিন্তু যদি কারো ‘সাহেবে নেসাব’ হওয়ার তারিখ জানা থাকে তবে শুধুমাত্র ওই সওয়াবের লক্ষ্যে সে ব্যক্তি রমাযানকে যাকাত প্রদানের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারে না। বরং তার করণীয় হচ্ছে, 'সাহেবে নেসাব' হওয়ার তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করা। অবশ্য যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে এ পন্থাটি অবলম্বন করতে পারে যে, অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করতে থাকবে। অবশিষ্ট যা থাকবে সেটা পবিত্র রমাযান মাসে আদায় করবে। তবে হ্যাঁ, যদি তারিখ মনে না থাকে, তবে তার জন্য পবিত্র রমাযানের যে কোন তারিখ নির্ধারণ করার অবকাশ আছে। অবশ্য সতর্কতার খাতিরে কিছু বেশি আদায় করবে। যাতে যদি তারিখ অগ্র-পশ্চাৎ করার দরুন কোনো তারতম্য দেখা দেয় সেটাও পুরো হয়ে যায়। অতঃপর একবার যে তারিখ নির্ধারণ করবে পরবর্তীতে প্রতি বৎসর ওই নির্দিষ্ট তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করবে। আর দেখবে যে, এ তারিখে আমার কি কি মূলধন আছে। ওই তারিখে নগদ টাকাই বা কত আছে? যদি স্বর্ণ-রৌপ্য বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই তারিখেরই রৌপ্য ও স্বর্ণের মূল্য | বিনা মূল্য উদ্দেশ্য, ক্রয় মূল্য নয়, দেখবে, শেয়ার থাকলে সেই তারিখের শেয়ারের মূল্য দেখবে, স্টকের মূল্য লাগাতে চাইলে ওই তারিখেরই স্টকের মূল লাগাতে হবে। আর পরবর্তী প্রতি বৎসর ওই তারিখেই হিসাব করে যাকাত আদায় করা উচিত। সেই তারিখের আগে পিছে করা অনুচিত।
(আহকামে যাকাত, মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী ও মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী পু: ৯০)
রোযা ও যাকাতের মাসায়েল
80 BDT150 BDTSave 70 BDT
1
বই: রোযা ও যাকাতের মাসায়েল
লেখক: তানজীল আরেফীন আদনান
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
যাকাত সংক্রান্ত মাসায়েলের ব্যাপারে মুফতী তাকী উসমানী হাফি. বলেন,
‘সাধারণত: মানুষ পবিত্র রমাযান মাসে যাকাত প্রদান করে থাকে। যার কারণ হচ্ছে- হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র রমাযানে একটি ফরযের সওয়াব সত্তরগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। কাজেই যাকাতও যেহেতু ফরয; অতএব তা রমাযানে আদায় করা হলে তার সওয়াবও সত্তর গুণ বেশী পাওয়া যাবে। এ কথাটি স্বস্থানে সম্পূর্ণ সঠিক এবং এ আগ্রহও প্রশংসনীয়। কিন্তু যদি কারো ‘সাহেবে নেসাব’ হওয়ার তারিখ জানা থাকে তবে শুধুমাত্র ওই সওয়াবের লক্ষ্যে সে ব্যক্তি রমাযানকে যাকাত প্রদানের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারে না। বরং তার করণীয় হচ্ছে, 'সাহেবে নেসাব' হওয়ার তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করা। অবশ্য যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে এ পন্থাটি অবলম্বন করতে পারে যে, অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করতে থাকবে। অবশিষ্ট যা থাকবে সেটা পবিত্র রমাযান মাসে আদায় করবে। তবে হ্যাঁ, যদি তারিখ মনে না থাকে, তবে তার জন্য পবিত্র রমাযানের যে কোন তারিখ নির্ধারণ করার অবকাশ আছে। অবশ্য সতর্কতার খাতিরে কিছু বেশি আদায় করবে। যাতে যদি তারিখ অগ্র-পশ্চাৎ করার দরুন কোনো তারতম্য দেখা দেয় সেটাও পুরো হয়ে যায়। অতঃপর একবার যে তারিখ নির্ধারণ করবে পরবর্তীতে প্রতি বৎসর ওই নির্দিষ্ট তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করবে। আর দেখবে যে, এ তারিখে আমার কি কি মূলধন আছে। ওই তারিখে নগদ টাকাই বা কত আছে? যদি স্বর্ণ-রৌপ্য বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই তারিখেরই রৌপ্য ও স্বর্ণের মূল্য | বিনা মূল্য উদ্দেশ্য, ক্রয় মূল্য নয়, দেখবে, শেয়ার থাকলে সেই তারিখের শেয়ারের মূল্য দেখবে, স্টকের মূল্য লাগাতে চাইলে ওই তারিখেরই স্টকের মূল লাগাতে হবে। আর পরবর্তী প্রতি বৎসর ওই তারিখেই হিসাব করে যাকাত আদায় করা উচিত। সেই তারিখের আগে পিছে করা অনুচিত।
(আহকামে যাকাত, মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী ও মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী পু: ৯০)
লেখক: তানজীল আরেফীন আদনান
প্রকাশনী: সঞ্চালন প্রকাশন
যাকাত সংক্রান্ত মাসায়েলের ব্যাপারে মুফতী তাকী উসমানী হাফি. বলেন,
‘সাধারণত: মানুষ পবিত্র রমাযান মাসে যাকাত প্রদান করে থাকে। যার কারণ হচ্ছে- হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র রমাযানে একটি ফরযের সওয়াব সত্তরগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। কাজেই যাকাতও যেহেতু ফরয; অতএব তা রমাযানে আদায় করা হলে তার সওয়াবও সত্তর গুণ বেশী পাওয়া যাবে। এ কথাটি স্বস্থানে সম্পূর্ণ সঠিক এবং এ আগ্রহও প্রশংসনীয়। কিন্তু যদি কারো ‘সাহেবে নেসাব’ হওয়ার তারিখ জানা থাকে তবে শুধুমাত্র ওই সওয়াবের লক্ষ্যে সে ব্যক্তি রমাযানকে যাকাত প্রদানের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারে না। বরং তার করণীয় হচ্ছে, 'সাহেবে নেসাব' হওয়ার তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করা। অবশ্য যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে এ পন্থাটি অবলম্বন করতে পারে যে, অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করতে থাকবে। অবশিষ্ট যা থাকবে সেটা পবিত্র রমাযান মাসে আদায় করবে। তবে হ্যাঁ, যদি তারিখ মনে না থাকে, তবে তার জন্য পবিত্র রমাযানের যে কোন তারিখ নির্ধারণ করার অবকাশ আছে। অবশ্য সতর্কতার খাতিরে কিছু বেশি আদায় করবে। যাতে যদি তারিখ অগ্র-পশ্চাৎ করার দরুন কোনো তারতম্য দেখা দেয় সেটাও পুরো হয়ে যায়। অতঃপর একবার যে তারিখ নির্ধারণ করবে পরবর্তীতে প্রতি বৎসর ওই নির্দিষ্ট তারিখেই নিজ যাকাতের হিসাব করবে। আর দেখবে যে, এ তারিখে আমার কি কি মূলধন আছে। ওই তারিখে নগদ টাকাই বা কত আছে? যদি স্বর্ণ-রৌপ্য বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই তারিখেরই রৌপ্য ও স্বর্ণের মূল্য | বিনা মূল্য উদ্দেশ্য, ক্রয় মূল্য নয়, দেখবে, শেয়ার থাকলে সেই তারিখের শেয়ারের মূল্য দেখবে, স্টকের মূল্য লাগাতে চাইলে ওই তারিখেরই স্টকের মূল লাগাতে হবে। আর পরবর্তী প্রতি বৎসর ওই তারিখেই হিসাব করে যাকাত আদায় করা উচিত। সেই তারিখের আগে পিছে করা অনুচিত।
(আহকামে যাকাত, মুফতী মুহাম্মাদ রফী উসমানী ও মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী পু: ৯০)