An Najahah Shop
EN

খানিক পথ গেলেই

An Najahah Shop

খানিক পথ গেলেই
  • খানিক পথ গেলেই_img_0

খানিক পথ গেলেই

170 BDT265 BDTSave 95 BDT
1

'বই: খানিক পথ গেলেই
লেখক:জুবায়ের আহমেদ
প্রকাশনী: রাইয়ান প্রকাশন

অন্তরের আবার দরোজা-জানালা কী?'

'হ্যাঁ অন্তরে ফিতনা ঢুকারও দরোজা-জানালা আছে আর তা হচ্ছে- চোখ এবং কান। আমরা যখন আমাদের চোখ দিয়ে কোনো অশ্লীল দৃশ্য দেখি- নাচ-গান, নাটক-মুভি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা যখন কান দিয়ে কোনো বাজে কথা শুনি -মিউজিক, গান ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন আমাদের মস্তিষ্কে গুনাহ করার প্রবণতা অনেকগুণে বৃদ্ধি পায়, ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার নামক হরমোন নিঃসরণ হয়, তখন গুনাহ করতে অনেক বেশি উৎসাহ দেয় মস্তিষ্ক। কারণ মস্তিষ্কে গুনাহ করার প্রবণতা তৈরি করে দিচ্ছে চোখ এবং কান দিয়ে অশ্লীল কিছু দেখা কিংবা শোনা।

আজকাল অশ্লীলতা দেখার জন্য অশ্লীল কোনো সাইটে যেতে হয় না, ফেসবুকের রিলস, টিকটক-লাইকি কিংবা ইউটিউবের শর্টসই যথেষ্ট। বাইরে অনেক ফিতনা! আমরা সেই ফিতনা প্রবেশের দরোজা-জানালা খুলে দিচ্ছি, যা আমাদের গুনাহের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। অথচ সেদিকে একবিন্দুও খেয়াল নেই আমাদের। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন-

قُلْ لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَ يَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذُلِكَ أَزْكُى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ

"মুমিনদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে; এটাই তাদের জন্যে উত্তম। এরা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে যথার্থ অবহিত। "(১৫৭)

এ আয়াতটি সরাসরি দৃষ্টি সংযত রাখার সাথে সম্পর্কিত। এখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবাই যেন নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন- "তিনি চক্ষুর অপব্যবহার এবং অন্তরের গোপন বস্তু সম্পর্কেও অবগত। "(১৫৮)

দৃষ্টিকে সংযত রাখা এর অর্থ অবশ্য সবসময় দৃষ্টি নিচের দিকে রাখা নয়। বরং এর অর্থ হচ্ছে, পূর্ণ দৃষ্টি ভরে না দেখা এবং দেখার জন্য দৃষ্টিকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে না দেওয়া। অর্থাৎ যে জিনিসটি দেখা সংগত নয় তার ওপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে হবে। হাদিসে আছে- “হে 'আলী! বার বার দৃষ্টি ক্ষেপণ করো না। কারণ, হঠাৎ দৃষ্টিতে তোমার কোনো দোষ নেই। তবে ইচ্ছাকৃত দ্বিতীয় দৃষ্টি অবশ্যই দোষের।”(১৫৯)

আজ অশ্লীল কিছু দেখে কিংবা শুনে কত যুবক ইভটিজিং করছে, নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের মস্তিষ্ক ঘুরে যাচ্ছে অন্য দিকে। যদি তারা ফিতনা প্রবেশের দরজা-জানালা অর্থাৎ চোখ-কান হিফাজত করতো তবে আজ এরকমটা হতো না। আর চোখ-কান হিফাজত করতে পারলেই লজ্জাস্থানের হিফাজত করতে পারতো, যা হিফাজতের কথা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন।'

-------------------------------
১৫৭. সূরা নুর: ৩০
১৫৮. সুরা গাফির : ১৯
১৫৯. সুনানে আবু দাউদ: ২১৪৯; সুনানে তিরমিজি : ২৭৭৭

"