যেমন ছিলো বড়দের তাহাজ্জুদ
বই: যেমন ছিলো বড়দের তাহাজ্জুদপ্রকাশন: সুকুননিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ভাঙলো। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাত তার শেষ প্রহরে উপনীত। চাইলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। চাইলেই বেজে উঠা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করে বালিশ-চাপা দিয়ে শুয়ে পড়া যায়। আরেকটু ঘুমোলে, আরামের বিছানায় আর একপ্রহর বাড়তি কাটালে দুনিয়ার কে আপনাকে দোষারোপ করবে?কিন্তু, আপনি ঘুমোলেন না। উঠে বসে গেলেন বিছানায়। ঘুমে প্রায় জড়িয়ে আসা চোখ দুটোকে সজাগ রাখার আপনার সে কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা!আপনি ঘুমোচ্ছেন না, কারণ শেষ রাতে আপনার একটা অ্যাপয়েন্ট নেওয়া আছে। জায়নামায বিছিয়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে আসমান আর যমিনের রবের সম্মুখে। কতো কথা যে তাঁকে বলবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তার ইয়ত্তা নেই! মধুর প্রার্থনায় ডুবে যেতে যেতে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ বলে যখন শ্বাস নেবেন, তখন টপটপ করে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে জায়নামাযে। সে পরম অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা!কী সুন্দর এই অভিজ্ঞতা, তাই না? প্রতিটি রাতের শেষ প্রহরে, এমন মধুর অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে আমাদের কার না মন চায়, বলুন! কিন্তু, প্রবৃত্তির শেকল ভেঙে সেই অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ আমাদের খুব কমই ভাগ্যে জোটে। অথচ, রাতের সাথে প্রার্থনার এই গভীর মিতালিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুষঙ্গ। আমাদের বড়রা, অর্থাৎ সালাফে-সালেহিনদের জীবনে গভীর রাত মানেই ছিলো জায়নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নৈকট্য লাভে মশগুল হয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদ ছিলো তাদের জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা—খাওয়া আর ঘুমোনোর মতোই।বড়দের সেই গল্পগুলো হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কতো ওতপ্রোতভাবে তাহাজ্জুদ তাদের জীবনে জড়িয়ে ছিলো, কতোটা চাতক পাখির মতো তারা রাত্রির অপেক্ষা করতো তাহাজ্জুদে দাঁড়ানোর জন্যে, তাদের কী গভীর মিতালি ছিলো রাতের সাথে—সেসব ঘটনাকে প্রখ্যাত দাঈ ড. সাইয়্যেদ হুসাইন আল আফফানি হাফিজাহুল্লাহ একটা মলাটে একত্র করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উত্তম বদলা দিন শাইখকে।নবিদের তাহাজ্জুদ, সাহাবিদের তাহাজ্জুদ, উম্মুল মুমি’নীনদের তাহাজ্জুদ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীদের তাহাজ্জুদের ঘটনা দিয়ে সাজানো এই বইটি ইন শা আল্লাহ আমাদের জীবনে ভীষণভাবে পরিবর্তন আনবে এবং গভীর রাতে জায়নামাযে দাঁড়াতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশা আল্লাহ।সুকুন পাবলিশিং ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ নামে বইটিকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আমাদের জন্য সহজ করেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজটি কবুল করেন এবং ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে অফুরান বারাকাহ দান করেন। আমীন।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: যেমন ছিলো বড়দের তাহাজ্জুদ
প্রকাশন: সুকুন
নিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ভাঙলো। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাত তার শেষ প্রহরে উপনীত। চাইলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। চাইলেই বেজে উঠা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করে বালিশ-চাপা দিয়ে শুয়ে পড়া যায়। আরেকটু ঘুমোলে, আরামের বিছানায় আর একপ্রহর বাড়তি কাটালে দুনিয়ার কে আপনাকে দোষারোপ করবে?
কিন্তু, আপনি ঘুমোলেন না। উঠে বসে গেলেন বিছানায়। ঘুমে প্রায় জড়িয়ে আসা চোখ দুটোকে সজাগ রাখার আপনার সে কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা!
আপনি ঘুমোচ্ছেন না, কারণ শেষ রাতে আপনার একটা অ্যাপয়েন্ট নেওয়া আছে। জায়নামায বিছিয়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে আসমান আর যমিনের রবের সম্মুখে। কতো কথা যে তাঁকে বলবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তার ইয়ত্তা নেই! মধুর প্রার্থনায় ডুবে যেতে যেতে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ বলে যখন শ্বাস নেবেন, তখন টপটপ করে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে জায়নামাযে। সে পরম অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা!
কী সুন্দর এই অভিজ্ঞতা, তাই না? প্রতিটি রাতের শেষ প্রহরে, এমন মধুর অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে আমাদের কার না মন চায়, বলুন! কিন্তু, প্রবৃত্তির শেকল ভেঙে সেই অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ আমাদের খুব কমই ভাগ্যে জোটে। অথচ, রাতের সাথে প্রার্থনার এই গভীর মিতালিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুষঙ্গ। আমাদের বড়রা, অর্থাৎ সালাফে-সালেহিনদের জীবনে গভীর রাত মানেই ছিলো জায়নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নৈকট্য লাভে মশগুল হয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদ ছিলো তাদের জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা—খাওয়া আর ঘুমোনোর মতোই।
বড়দের সেই গল্পগুলো হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কতো ওতপ্রোতভাবে তাহাজ্জুদ তাদের জীবনে জড়িয়ে ছিলো, কতোটা চাতক পাখির মতো তারা রাত্রির অপেক্ষা করতো তাহাজ্জুদে দাঁড়ানোর জন্যে, তাদের কী গভীর মিতালি ছিলো রাতের সাথে—সেসব ঘটনাকে প্রখ্যাত দাঈ ড. সাইয়্যেদ হুসাইন আল আফফানি হাফিজাহুল্লাহ একটা মলাটে একত্র করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উত্তম বদলা দিন শাইখকে।
নবিদের তাহাজ্জুদ, সাহাবিদের তাহাজ্জুদ, উম্মুল মুমি’নীনদের তাহাজ্জুদ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীদের তাহাজ্জুদের ঘটনা দিয়ে সাজানো এই বইটি ইন শা আল্লাহ আমাদের জীবনে ভীষণভাবে পরিবর্তন আনবে এবং গভীর রাতে জায়নামাযে দাঁড়াতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশা আল্লাহ।
সুকুন পাবলিশিং ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ নামে বইটিকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আমাদের জন্য সহজ করেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজটি কবুল করেন এবং ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে অফুরান বারাকাহ দান করেন। আমীন।
প্রকাশন: সুকুন
নিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ভাঙলো। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাত তার শেষ প্রহরে উপনীত। চাইলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। চাইলেই বেজে উঠা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করে বালিশ-চাপা দিয়ে শুয়ে পড়া যায়। আরেকটু ঘুমোলে, আরামের বিছানায় আর একপ্রহর বাড়তি কাটালে দুনিয়ার কে আপনাকে দোষারোপ করবে?
কিন্তু, আপনি ঘুমোলেন না। উঠে বসে গেলেন বিছানায়। ঘুমে প্রায় জড়িয়ে আসা চোখ দুটোকে সজাগ রাখার আপনার সে কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা!
আপনি ঘুমোচ্ছেন না, কারণ শেষ রাতে আপনার একটা অ্যাপয়েন্ট নেওয়া আছে। জায়নামায বিছিয়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে আসমান আর যমিনের রবের সম্মুখে। কতো কথা যে তাঁকে বলবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তার ইয়ত্তা নেই! মধুর প্রার্থনায় ডুবে যেতে যেতে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ বলে যখন শ্বাস নেবেন, তখন টপটপ করে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে জায়নামাযে। সে পরম অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা!
কী সুন্দর এই অভিজ্ঞতা, তাই না? প্রতিটি রাতের শেষ প্রহরে, এমন মধুর অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে আমাদের কার না মন চায়, বলুন! কিন্তু, প্রবৃত্তির শেকল ভেঙে সেই অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ আমাদের খুব কমই ভাগ্যে জোটে। অথচ, রাতের সাথে প্রার্থনার এই গভীর মিতালিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুষঙ্গ। আমাদের বড়রা, অর্থাৎ সালাফে-সালেহিনদের জীবনে গভীর রাত মানেই ছিলো জায়নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নৈকট্য লাভে মশগুল হয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদ ছিলো তাদের জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা—খাওয়া আর ঘুমোনোর মতোই।
বড়দের সেই গল্পগুলো হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কতো ওতপ্রোতভাবে তাহাজ্জুদ তাদের জীবনে জড়িয়ে ছিলো, কতোটা চাতক পাখির মতো তারা রাত্রির অপেক্ষা করতো তাহাজ্জুদে দাঁড়ানোর জন্যে, তাদের কী গভীর মিতালি ছিলো রাতের সাথে—সেসব ঘটনাকে প্রখ্যাত দাঈ ড. সাইয়্যেদ হুসাইন আল আফফানি হাফিজাহুল্লাহ একটা মলাটে একত্র করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উত্তম বদলা দিন শাইখকে।
নবিদের তাহাজ্জুদ, সাহাবিদের তাহাজ্জুদ, উম্মুল মুমি’নীনদের তাহাজ্জুদ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীদের তাহাজ্জুদের ঘটনা দিয়ে সাজানো এই বইটি ইন শা আল্লাহ আমাদের জীবনে ভীষণভাবে পরিবর্তন আনবে এবং গভীর রাতে জায়নামাযে দাঁড়াতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশা আল্লাহ।
সুকুন পাবলিশিং ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ নামে বইটিকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আমাদের জন্য সহজ করেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজটি কবুল করেন এবং ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে অফুরান বারাকাহ দান করেন। আমীন।
যেমন ছিলো বড়দের তাহাজ্জুদ
260 BDT350 BDTSave 90 BDT
1
বই: যেমন ছিলো বড়দের তাহাজ্জুদ
প্রকাশন: সুকুন
নিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ভাঙলো। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাত তার শেষ প্রহরে উপনীত। চাইলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। চাইলেই বেজে উঠা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করে বালিশ-চাপা দিয়ে শুয়ে পড়া যায়। আরেকটু ঘুমোলে, আরামের বিছানায় আর একপ্রহর বাড়তি কাটালে দুনিয়ার কে আপনাকে দোষারোপ করবে?
কিন্তু, আপনি ঘুমোলেন না। উঠে বসে গেলেন বিছানায়। ঘুমে প্রায় জড়িয়ে আসা চোখ দুটোকে সজাগ রাখার আপনার সে কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা!
আপনি ঘুমোচ্ছেন না, কারণ শেষ রাতে আপনার একটা অ্যাপয়েন্ট নেওয়া আছে। জায়নামায বিছিয়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে আসমান আর যমিনের রবের সম্মুখে। কতো কথা যে তাঁকে বলবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তার ইয়ত্তা নেই! মধুর প্রার্থনায় ডুবে যেতে যেতে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ বলে যখন শ্বাস নেবেন, তখন টপটপ করে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে জায়নামাযে। সে পরম অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা!
কী সুন্দর এই অভিজ্ঞতা, তাই না? প্রতিটি রাতের শেষ প্রহরে, এমন মধুর অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে আমাদের কার না মন চায়, বলুন! কিন্তু, প্রবৃত্তির শেকল ভেঙে সেই অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ আমাদের খুব কমই ভাগ্যে জোটে। অথচ, রাতের সাথে প্রার্থনার এই গভীর মিতালিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুষঙ্গ। আমাদের বড়রা, অর্থাৎ সালাফে-সালেহিনদের জীবনে গভীর রাত মানেই ছিলো জায়নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নৈকট্য লাভে মশগুল হয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদ ছিলো তাদের জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা—খাওয়া আর ঘুমোনোর মতোই।
বড়দের সেই গল্পগুলো হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কতো ওতপ্রোতভাবে তাহাজ্জুদ তাদের জীবনে জড়িয়ে ছিলো, কতোটা চাতক পাখির মতো তারা রাত্রির অপেক্ষা করতো তাহাজ্জুদে দাঁড়ানোর জন্যে, তাদের কী গভীর মিতালি ছিলো রাতের সাথে—সেসব ঘটনাকে প্রখ্যাত দাঈ ড. সাইয়্যেদ হুসাইন আল আফফানি হাফিজাহুল্লাহ একটা মলাটে একত্র করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উত্তম বদলা দিন শাইখকে।
নবিদের তাহাজ্জুদ, সাহাবিদের তাহাজ্জুদ, উম্মুল মুমি’নীনদের তাহাজ্জুদ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীদের তাহাজ্জুদের ঘটনা দিয়ে সাজানো এই বইটি ইন শা আল্লাহ আমাদের জীবনে ভীষণভাবে পরিবর্তন আনবে এবং গভীর রাতে জায়নামাযে দাঁড়াতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশা আল্লাহ।
সুকুন পাবলিশিং ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ নামে বইটিকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আমাদের জন্য সহজ করেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজটি কবুল করেন এবং ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে অফুরান বারাকাহ দান করেন। আমীন।
প্রকাশন: সুকুন
নিস্তব্ধ গভীর রাত। গোটা দুনিয়া ডুবে আছে এক নিশ্চুপ, নিরুপদ্রব নীরবতায়। চারপাশে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন। এমন সময় আপনার ঘুম ভাঙলো। ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে রাত তার শেষ প্রহরে উপনীত। চাইলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। চাইলেই বেজে উঠা অ্যালার্মটাকে বন্ধ করে বালিশ-চাপা দিয়ে শুয়ে পড়া যায়। আরেকটু ঘুমোলে, আরামের বিছানায় আর একপ্রহর বাড়তি কাটালে দুনিয়ার কে আপনাকে দোষারোপ করবে?
কিন্তু, আপনি ঘুমোলেন না। উঠে বসে গেলেন বিছানায়। ঘুমে প্রায় জড়িয়ে আসা চোখ দুটোকে সজাগ রাখার আপনার সে কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা!
আপনি ঘুমোচ্ছেন না, কারণ শেষ রাতে আপনার একটা অ্যাপয়েন্ট নেওয়া আছে। জায়নামায বিছিয়ে আপনাকে দাঁড়াতে হবে আসমান আর যমিনের রবের সম্মুখে। কতো কথা যে তাঁকে বলবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তার ইয়ত্তা নেই! মধুর প্রার্থনায় ডুবে যেতে যেতে ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’ বলে যখন শ্বাস নেবেন, তখন টপটপ করে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে জায়নামাযে। সে পরম অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা!
কী সুন্দর এই অভিজ্ঞতা, তাই না? প্রতিটি রাতের শেষ প্রহরে, এমন মধুর অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে আমাদের কার না মন চায়, বলুন! কিন্তু, প্রবৃত্তির শেকল ভেঙে সেই অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ আমাদের খুব কমই ভাগ্যে জোটে। অথচ, রাতের সাথে প্রার্থনার এই গভীর মিতালিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় অনুষঙ্গ। আমাদের বড়রা, অর্থাৎ সালাফে-সালেহিনদের জীবনে গভীর রাত মানেই ছিলো জায়নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নৈকট্য লাভে মশগুল হয়ে যাওয়া। তাহাজ্জুদ ছিলো তাদের জীবনের নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা—খাওয়া আর ঘুমোনোর মতোই।
বড়দের সেই গল্পগুলো হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কতো ওতপ্রোতভাবে তাহাজ্জুদ তাদের জীবনে জড়িয়ে ছিলো, কতোটা চাতক পাখির মতো তারা রাত্রির অপেক্ষা করতো তাহাজ্জুদে দাঁড়ানোর জন্যে, তাদের কী গভীর মিতালি ছিলো রাতের সাথে—সেসব ঘটনাকে প্রখ্যাত দাঈ ড. সাইয়্যেদ হুসাইন আল আফফানি হাফিজাহুল্লাহ একটা মলাটে একত্র করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উত্তম বদলা দিন শাইখকে।
নবিদের তাহাজ্জুদ, সাহাবিদের তাহাজ্জুদ, উম্মুল মুমি’নীনদের তাহাজ্জুদ, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীদের তাহাজ্জুদের ঘটনা দিয়ে সাজানো এই বইটি ইন শা আল্লাহ আমাদের জীবনে ভীষণভাবে পরিবর্তন আনবে এবং গভীর রাতে জায়নামাযে দাঁড়াতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইনশা আল্লাহ।
সুকুন পাবলিশিং ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ নামে বইটিকে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আমাদের জন্য সহজ করেন, আমাদের পক্ষ থেকে কাজটি কবুল করেন এবং ভুলত্রুটিগুলো মাফ করে অফুরান বারাকাহ দান করেন। আমীন।