লোকটি ছিলো মিথ্যুক
বই: লোকটি ছিল মিথ্যুকলেখক- ইশতিয়াক আহমাদঅনুবাদ- মাহদি হাসান১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, আর শিখরা একসঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিন জাতিই চাইত, যে করেই হোক ইংরেজ বেনিয়াদেরকে এই ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা দরকার। ইংরেজরা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের নাম দেয় গাদ্দারির যুদ্ধ। মির্জা সম্পর্কে এই যুদ্ধসংক্রান্ত বিশেষ সংবাদ হচ্ছে, তার পিতা এই যুদ্ধে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। পঞ্চাশজন ঘোড়সওয়ার সরবরাহ করে দিয়েছিলেন। এ কথা নিজের থেকে বানিয়ে লিখছি না। মির্জা নিজেই তার এক বইয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। আসলে আমার এই বইয়ের সকল তথ্য মির্জার লেখা বইগুলো থেকেই সংগ্রহ করে সাজানো হয়েছে। ইংরেজদের সেবাদাসরা তো কখনোই মুসলমানদের ভালো চাইত না। তবুও এমন লোকই যদি নবুওয়াতের দাবি করে বসে, তাহলে এ নিয়ে হতভম্ব না হয়ে পারা যায় না। মির্জা আঠারোটি বছর ইংরেজদের সেবা করেছে। নিজের কলম দিয়ে ইংরেজদের অনেক প্রশংসা করেছে। তাদের প্রশংসায় বই লিখেছে। এ ক্ষেত্রে “তোহফায়ে কায়ছারিয়া” আর “সেতারায়ে কায়ছারিয়া” নামের বই দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই বইয়ে মির্জা ইংরেজদের প্রশংসায় আকাশ পাতাল এক করে ফেলেছে। এসব দেখে ইংরেজ সরকার ভেবে নিয়েছিল, এরা তো আসলেই ইংরেজদের বিশ্বস্ত। ইংরেজদের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাই ইংরেজ সরকার ফন্দি আঁটল, এদের দ্বারা মুসলমানদের পিঠে সহজেই ছুরি বিদ্ধ করা যাবে। এদিকে মির্জা আর্থিক অনটনে ভুগছিল। তাই ইংরেজরা তাকে আর্থিক সাহায্য করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করল। তাকে বলা হলো নবি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে।
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: লোকটি ছিল মিথ্যুক
লেখক- ইশতিয়াক আহমাদ
অনুবাদ- মাহদি হাসান
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, আর শিখরা একসঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিন জাতিই চাইত, যে করেই হোক ইংরেজ বেনিয়াদেরকে এই ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা দরকার। ইংরেজরা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের নাম দেয় গাদ্দারির যুদ্ধ। মির্জা সম্পর্কে এই যুদ্ধসংক্রান্ত বিশেষ সংবাদ হচ্ছে, তার পিতা এই যুদ্ধে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। পঞ্চাশজন ঘোড়সওয়ার সরবরাহ করে দিয়েছিলেন। এ কথা নিজের থেকে বানিয়ে লিখছি না। মির্জা নিজেই তার এক বইয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। আসলে আমার এই বইয়ের সকল তথ্য মির্জার লেখা বইগুলো থেকেই সংগ্রহ করে সাজানো হয়েছে। ইংরেজদের সেবাদাসরা তো কখনোই মুসলমানদের ভালো চাইত না। তবুও এমন লোকই যদি নবুওয়াতের দাবি করে বসে, তাহলে এ নিয়ে হতভম্ব না হয়ে পারা যায় না।
মির্জা আঠারোটি বছর ইংরেজদের সেবা করেছে। নিজের কলম দিয়ে ইংরেজদের অনেক প্রশংসা করেছে। তাদের প্রশংসায় বই লিখেছে। এ ক্ষেত্রে “তোহফায়ে কায়ছারিয়া” আর “সেতারায়ে কায়ছারিয়া” নামের বই দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই বইয়ে মির্জা ইংরেজদের প্রশংসায় আকাশ পাতাল এক করে ফেলেছে। এসব দেখে ইংরেজ সরকার ভেবে নিয়েছিল, এরা তো আসলেই ইংরেজদের বিশ্বস্ত। ইংরেজদের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাই ইংরেজ সরকার ফন্দি আঁটল, এদের দ্বারা মুসলমানদের পিঠে সহজেই ছুরি বিদ্ধ করা যাবে। এদিকে মির্জা আর্থিক অনটনে ভুগছিল। তাই ইংরেজরা তাকে আর্থিক সাহায্য করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করল। তাকে বলা হলো নবি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে।
লেখক- ইশতিয়াক আহমাদ
অনুবাদ- মাহদি হাসান
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, আর শিখরা একসঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিন জাতিই চাইত, যে করেই হোক ইংরেজ বেনিয়াদেরকে এই ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা দরকার। ইংরেজরা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের নাম দেয় গাদ্দারির যুদ্ধ। মির্জা সম্পর্কে এই যুদ্ধসংক্রান্ত বিশেষ সংবাদ হচ্ছে, তার পিতা এই যুদ্ধে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। পঞ্চাশজন ঘোড়সওয়ার সরবরাহ করে দিয়েছিলেন। এ কথা নিজের থেকে বানিয়ে লিখছি না। মির্জা নিজেই তার এক বইয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। আসলে আমার এই বইয়ের সকল তথ্য মির্জার লেখা বইগুলো থেকেই সংগ্রহ করে সাজানো হয়েছে। ইংরেজদের সেবাদাসরা তো কখনোই মুসলমানদের ভালো চাইত না। তবুও এমন লোকই যদি নবুওয়াতের দাবি করে বসে, তাহলে এ নিয়ে হতভম্ব না হয়ে পারা যায় না।
মির্জা আঠারোটি বছর ইংরেজদের সেবা করেছে। নিজের কলম দিয়ে ইংরেজদের অনেক প্রশংসা করেছে। তাদের প্রশংসায় বই লিখেছে। এ ক্ষেত্রে “তোহফায়ে কায়ছারিয়া” আর “সেতারায়ে কায়ছারিয়া” নামের বই দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই বইয়ে মির্জা ইংরেজদের প্রশংসায় আকাশ পাতাল এক করে ফেলেছে। এসব দেখে ইংরেজ সরকার ভেবে নিয়েছিল, এরা তো আসলেই ইংরেজদের বিশ্বস্ত। ইংরেজদের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাই ইংরেজ সরকার ফন্দি আঁটল, এদের দ্বারা মুসলমানদের পিঠে সহজেই ছুরি বিদ্ধ করা যাবে। এদিকে মির্জা আর্থিক অনটনে ভুগছিল। তাই ইংরেজরা তাকে আর্থিক সাহায্য করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করল। তাকে বলা হলো নবি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে।
লোকটি ছিলো মিথ্যুক
105 BDT125 BDTSave 20 BDT
1
বই: লোকটি ছিল মিথ্যুক
লেখক- ইশতিয়াক আহমাদ
অনুবাদ- মাহদি হাসান
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, আর শিখরা একসঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিন জাতিই চাইত, যে করেই হোক ইংরেজ বেনিয়াদেরকে এই ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা দরকার। ইংরেজরা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের নাম দেয় গাদ্দারির যুদ্ধ। মির্জা সম্পর্কে এই যুদ্ধসংক্রান্ত বিশেষ সংবাদ হচ্ছে, তার পিতা এই যুদ্ধে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। পঞ্চাশজন ঘোড়সওয়ার সরবরাহ করে দিয়েছিলেন। এ কথা নিজের থেকে বানিয়ে লিখছি না। মির্জা নিজেই তার এক বইয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। আসলে আমার এই বইয়ের সকল তথ্য মির্জার লেখা বইগুলো থেকেই সংগ্রহ করে সাজানো হয়েছে। ইংরেজদের সেবাদাসরা তো কখনোই মুসলমানদের ভালো চাইত না। তবুও এমন লোকই যদি নবুওয়াতের দাবি করে বসে, তাহলে এ নিয়ে হতভম্ব না হয়ে পারা যায় না।
মির্জা আঠারোটি বছর ইংরেজদের সেবা করেছে। নিজের কলম দিয়ে ইংরেজদের অনেক প্রশংসা করেছে। তাদের প্রশংসায় বই লিখেছে। এ ক্ষেত্রে “তোহফায়ে কায়ছারিয়া” আর “সেতারায়ে কায়ছারিয়া” নামের বই দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই বইয়ে মির্জা ইংরেজদের প্রশংসায় আকাশ পাতাল এক করে ফেলেছে। এসব দেখে ইংরেজ সরকার ভেবে নিয়েছিল, এরা তো আসলেই ইংরেজদের বিশ্বস্ত। ইংরেজদের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাই ইংরেজ সরকার ফন্দি আঁটল, এদের দ্বারা মুসলমানদের পিঠে সহজেই ছুরি বিদ্ধ করা যাবে। এদিকে মির্জা আর্থিক অনটনে ভুগছিল। তাই ইংরেজরা তাকে আর্থিক সাহায্য করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করল। তাকে বলা হলো নবি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে।
লেখক- ইশতিয়াক আহমাদ
অনুবাদ- মাহদি হাসান
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলিম, হিন্দু, আর শিখরা একসঙ্গে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। তিন জাতিই চাইত, যে করেই হোক ইংরেজ বেনিয়াদেরকে এই ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা দরকার। ইংরেজরা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের নাম দেয় গাদ্দারির যুদ্ধ। মির্জা সম্পর্কে এই যুদ্ধসংক্রান্ত বিশেষ সংবাদ হচ্ছে, তার পিতা এই যুদ্ধে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ইংরেজদের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। পঞ্চাশজন ঘোড়সওয়ার সরবরাহ করে দিয়েছিলেন। এ কথা নিজের থেকে বানিয়ে লিখছি না। মির্জা নিজেই তার এক বইয়ে এই তথ্য দিয়েছেন। আসলে আমার এই বইয়ের সকল তথ্য মির্জার লেখা বইগুলো থেকেই সংগ্রহ করে সাজানো হয়েছে। ইংরেজদের সেবাদাসরা তো কখনোই মুসলমানদের ভালো চাইত না। তবুও এমন লোকই যদি নবুওয়াতের দাবি করে বসে, তাহলে এ নিয়ে হতভম্ব না হয়ে পারা যায় না।
মির্জা আঠারোটি বছর ইংরেজদের সেবা করেছে। নিজের কলম দিয়ে ইংরেজদের অনেক প্রশংসা করেছে। তাদের প্রশংসায় বই লিখেছে। এ ক্ষেত্রে “তোহফায়ে কায়ছারিয়া” আর “সেতারায়ে কায়ছারিয়া” নামের বই দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুই বইয়ে মির্জা ইংরেজদের প্রশংসায় আকাশ পাতাল এক করে ফেলেছে। এসব দেখে ইংরেজ সরকার ভেবে নিয়েছিল, এরা তো আসলেই ইংরেজদের বিশ্বস্ত। ইংরেজদের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তাই ইংরেজ সরকার ফন্দি আঁটল, এদের দ্বারা মুসলমানদের পিঠে সহজেই ছুরি বিদ্ধ করা যাবে। এদিকে মির্জা আর্থিক অনটনে ভুগছিল। তাই ইংরেজরা তাকে আর্থিক সাহায্য করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করল। তাকে বলা হলো নবি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে।