নারী জীবনের সুখ - সংগ্রাম
‘বই: নারীজীবনের সুখ-সংগ্রামলেখক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ আবদুল মুতি,ড. হুদা সাইদ বাহলুল প্রকাশনী:: উমেদ প্রকাশ মাসিক পিরিয়ড কি নারীদের নামাজ-রোজার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করে?একজন মেয়ের ঘটনা:মেয়েটির নিজের ভাষ্য, আমি পিরিয়ডের সময়গুলোতে অনেক ভারাক্রান্ত থাকতাম। কারণ আমি নামাজের প্রতি বেশ সচেতন ছিলাম। দিলে নামাজের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের সময় আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। রমজান মাসে আমার এই দুঃখ আরও বৃদ্ধি পেত। সবাই রোজা রাখছে, কিন্তু পিরিয়ডের কারণে আমি রোজা রাখতে পারতাম না। তারপর রমজানের দিন থেকে যা ছুটে গিয়েছে, সেগুলোর কাজা করতে হতো।আমার মন এতে অস্থির থাকত। তবে যেদিন জানতে পারলাম, একজন ঋতুস্রাবগ্রস্ত নারীর জন্য মাসিকের পূর্বের মতোই সওয়াব লেখা হয়। যেমনটি বুখারী শরীফের হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا'যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয়ে যায় অথবা সফরে থাকে, তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকা অবস্থায় কৃত আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ২৯৯৬)যে ব্যক্তি নফল নামাজ পড়ত, নফল রোজা রাখত, তারপর সে অসুস্থ হয়ে গেল বা সফরে চলে গেল, যার কারণে অভ্যাসমাফিক এই ইবাদতগুলো করতে পারেনি। তখন তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকার অবস্থার আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে। এক ব্যক্তির প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস। সফরে সোমবার আসার পর সে রোজা রাখল না। তবুও তার জন্য ওই দিনের সওয়াব লেখা হবে। যে ব্যক্তি সুন্নাত ও চাশতের নামাজ নিয়মিত আদায় করত, একদিন অসুস্থতার কারণে আদায় করতে পারেনি, তাহলে অসুস্থতার দিনগুলোতেও তার জন্য এই নামাজগুলোর সওয়াব লেখা হবে। এই ভিত্তিতে বলা যায়, একজন মেয়ে যখন নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, আর সে মাসিক পিরিয়ডের সময় এ আমলগুলো করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে মাসিকের পূর্বে কৃত আমলের হিসাবে মাসিকের সময়গুলোতেও সওয়াব দেবেন।’🔹
An Najahah Shop
Category List
All products

‘বই: নারীজীবনের সুখ-সংগ্রাম
লেখক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ আবদুল মুতি,
ড. হুদা সাইদ বাহলুল
প্রকাশনী:: উমেদ প্রকাশ
মাসিক পিরিয়ড কি নারীদের নামাজ-রোজার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করে?
একজন মেয়ের ঘটনা:
মেয়েটির নিজের ভাষ্য,
আমি পিরিয়ডের সময়গুলোতে অনেক ভারাক্রান্ত থাকতাম। কারণ আমি নামাজের প্রতি বেশ সচেতন ছিলাম। দিলে নামাজের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের সময় আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। রমজান মাসে আমার এই দুঃখ আরও বৃদ্ধি পেত। সবাই রোজা রাখছে, কিন্তু পিরিয়ডের কারণে আমি রোজা রাখতে পারতাম না। তারপর রমজানের দিন থেকে যা ছুটে গিয়েছে, সেগুলোর কাজা করতে হতো।
আমার মন এতে অস্থির থাকত। তবে যেদিন জানতে পারলাম, একজন ঋতুস্রাবগ্রস্ত নারীর জন্য মাসিকের পূর্বের মতোই সওয়াব লেখা হয়। যেমনটি বুখারী শরীফের হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,
إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا
'যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয়ে যায় অথবা সফরে থাকে, তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকা অবস্থায় কৃত আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ২৯৯৬)
যে ব্যক্তি নফল নামাজ পড়ত, নফল রোজা রাখত, তারপর সে অসুস্থ হয়ে গেল বা সফরে চলে গেল, যার কারণে অভ্যাসমাফিক এই ইবাদতগুলো করতে পারেনি। তখন তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকার অবস্থার আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।
এক ব্যক্তির প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস। সফরে সোমবার আসার পর সে রোজা রাখল না। তবুও তার জন্য ওই দিনের সওয়াব লেখা হবে। যে ব্যক্তি সুন্নাত ও চাশতের নামাজ নিয়মিত আদায় করত, একদিন অসুস্থতার কারণে আদায় করতে পারেনি, তাহলে অসুস্থতার দিনগুলোতেও তার জন্য এই নামাজগুলোর সওয়াব লেখা হবে। এই ভিত্তিতে বলা যায়, একজন মেয়ে যখন নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, আর সে মাসিক পিরিয়ডের সময় এ আমলগুলো করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে মাসিকের পূর্বে কৃত আমলের হিসাবে মাসিকের সময়গুলোতেও সওয়াব দেবেন।’
🔹
লেখক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ আবদুল মুতি,
ড. হুদা সাইদ বাহলুল
প্রকাশনী:: উমেদ প্রকাশ
মাসিক পিরিয়ড কি নারীদের নামাজ-রোজার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করে?
একজন মেয়ের ঘটনা:
মেয়েটির নিজের ভাষ্য,
আমি পিরিয়ডের সময়গুলোতে অনেক ভারাক্রান্ত থাকতাম। কারণ আমি নামাজের প্রতি বেশ সচেতন ছিলাম। দিলে নামাজের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের সময় আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। রমজান মাসে আমার এই দুঃখ আরও বৃদ্ধি পেত। সবাই রোজা রাখছে, কিন্তু পিরিয়ডের কারণে আমি রোজা রাখতে পারতাম না। তারপর রমজানের দিন থেকে যা ছুটে গিয়েছে, সেগুলোর কাজা করতে হতো।
আমার মন এতে অস্থির থাকত। তবে যেদিন জানতে পারলাম, একজন ঋতুস্রাবগ্রস্ত নারীর জন্য মাসিকের পূর্বের মতোই সওয়াব লেখা হয়। যেমনটি বুখারী শরীফের হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,
إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا
'যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয়ে যায় অথবা সফরে থাকে, তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকা অবস্থায় কৃত আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ২৯৯৬)
যে ব্যক্তি নফল নামাজ পড়ত, নফল রোজা রাখত, তারপর সে অসুস্থ হয়ে গেল বা সফরে চলে গেল, যার কারণে অভ্যাসমাফিক এই ইবাদতগুলো করতে পারেনি। তখন তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকার অবস্থার আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।
এক ব্যক্তির প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস। সফরে সোমবার আসার পর সে রোজা রাখল না। তবুও তার জন্য ওই দিনের সওয়াব লেখা হবে। যে ব্যক্তি সুন্নাত ও চাশতের নামাজ নিয়মিত আদায় করত, একদিন অসুস্থতার কারণে আদায় করতে পারেনি, তাহলে অসুস্থতার দিনগুলোতেও তার জন্য এই নামাজগুলোর সওয়াব লেখা হবে। এই ভিত্তিতে বলা যায়, একজন মেয়ে যখন নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, আর সে মাসিক পিরিয়ডের সময় এ আমলগুলো করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে মাসিকের পূর্বে কৃত আমলের হিসাবে মাসিকের সময়গুলোতেও সওয়াব দেবেন।’
🔹
নারী জীবনের সুখ - সংগ্রাম
280 BDT400 BDTSave 120 BDT
1
‘বই: নারীজীবনের সুখ-সংগ্রাম
লেখক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ আবদুল মুতি,
ড. হুদা সাইদ বাহলুল
প্রকাশনী:: উমেদ প্রকাশ
মাসিক পিরিয়ড কি নারীদের নামাজ-রোজার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করে?
একজন মেয়ের ঘটনা:
মেয়েটির নিজের ভাষ্য,
আমি পিরিয়ডের সময়গুলোতে অনেক ভারাক্রান্ত থাকতাম। কারণ আমি নামাজের প্রতি বেশ সচেতন ছিলাম। দিলে নামাজের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের সময় আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। রমজান মাসে আমার এই দুঃখ আরও বৃদ্ধি পেত। সবাই রোজা রাখছে, কিন্তু পিরিয়ডের কারণে আমি রোজা রাখতে পারতাম না। তারপর রমজানের দিন থেকে যা ছুটে গিয়েছে, সেগুলোর কাজা করতে হতো।
আমার মন এতে অস্থির থাকত। তবে যেদিন জানতে পারলাম, একজন ঋতুস্রাবগ্রস্ত নারীর জন্য মাসিকের পূর্বের মতোই সওয়াব লেখা হয়। যেমনটি বুখারী শরীফের হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,
إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا
'যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয়ে যায় অথবা সফরে থাকে, তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকা অবস্থায় কৃত আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ২৯৯৬)
যে ব্যক্তি নফল নামাজ পড়ত, নফল রোজা রাখত, তারপর সে অসুস্থ হয়ে গেল বা সফরে চলে গেল, যার কারণে অভ্যাসমাফিক এই ইবাদতগুলো করতে পারেনি। তখন তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকার অবস্থার আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।
এক ব্যক্তির প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস। সফরে সোমবার আসার পর সে রোজা রাখল না। তবুও তার জন্য ওই দিনের সওয়াব লেখা হবে। যে ব্যক্তি সুন্নাত ও চাশতের নামাজ নিয়মিত আদায় করত, একদিন অসুস্থতার কারণে আদায় করতে পারেনি, তাহলে অসুস্থতার দিনগুলোতেও তার জন্য এই নামাজগুলোর সওয়াব লেখা হবে। এই ভিত্তিতে বলা যায়, একজন মেয়ে যখন নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, আর সে মাসিক পিরিয়ডের সময় এ আমলগুলো করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে মাসিকের পূর্বে কৃত আমলের হিসাবে মাসিকের সময়গুলোতেও সওয়াব দেবেন।’
🔹
লেখক: আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ আবদুল মুতি,
ড. হুদা সাইদ বাহলুল
প্রকাশনী:: উমেদ প্রকাশ
মাসিক পিরিয়ড কি নারীদের নামাজ-রোজার সওয়াব থেকে বঞ্চিত করে?
একজন মেয়ের ঘটনা:
মেয়েটির নিজের ভাষ্য,
আমি পিরিয়ডের সময়গুলোতে অনেক ভারাক্রান্ত থাকতাম। কারণ আমি নামাজের প্রতি বেশ সচেতন ছিলাম। দিলে নামাজের প্রতি প্রচুর আগ্রহ ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের সময় আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। রমজান মাসে আমার এই দুঃখ আরও বৃদ্ধি পেত। সবাই রোজা রাখছে, কিন্তু পিরিয়ডের কারণে আমি রোজা রাখতে পারতাম না। তারপর রমজানের দিন থেকে যা ছুটে গিয়েছে, সেগুলোর কাজা করতে হতো।
আমার মন এতে অস্থির থাকত। তবে যেদিন জানতে পারলাম, একজন ঋতুস্রাবগ্রস্ত নারীর জন্য মাসিকের পূর্বের মতোই সওয়াব লেখা হয়। যেমনটি বুখারী শরীফের হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,
إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيمًا صَحِيحًا
'যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয়ে যায় অথবা সফরে থাকে, তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকা অবস্থায় কৃত আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।' (সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ২৯৯৬)
যে ব্যক্তি নফল নামাজ পড়ত, নফল রোজা রাখত, তারপর সে অসুস্থ হয়ে গেল বা সফরে চলে গেল, যার কারণে অভ্যাসমাফিক এই ইবাদতগুলো করতে পারেনি। তখন তার জন্য তার সুস্থতা ও বাড়িতে থাকার অবস্থার আমলের মতো সওয়াব লেখা হতে থাকে।
এক ব্যক্তির প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস। সফরে সোমবার আসার পর সে রোজা রাখল না। তবুও তার জন্য ওই দিনের সওয়াব লেখা হবে। যে ব্যক্তি সুন্নাত ও চাশতের নামাজ নিয়মিত আদায় করত, একদিন অসুস্থতার কারণে আদায় করতে পারেনি, তাহলে অসুস্থতার দিনগুলোতেও তার জন্য এই নামাজগুলোর সওয়াব লেখা হবে। এই ভিত্তিতে বলা যায়, একজন মেয়ে যখন নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, আর সে মাসিক পিরিয়ডের সময় এ আমলগুলো করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে মাসিকের পূর্বে কৃত আমলের হিসাবে মাসিকের সময়গুলোতেও সওয়াব দেবেন।’
🔹