কঠোর হৃদয়
বই: কঠোর হৃদয়(ভয়াবহতা,কারণ,প্রতিকার) লেখক: হাফিয আল্লামা আবুল ফারাজ ও ইবনু রজব হাম্বলি রহ.অনুবাদ : মাওলানা শামসুল আরেফীন মুন্সী প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ অন্তর কঠোর হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়।কোরআন,হাদিস ও সালাফদের বক্তব্যে বিষয়টি সুস্পষ্ট। আল্লাহ তা'আলা বলেন :"আল্লাহ যার বক্ষ(অন্তরকে) ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,অত:পর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে।(সে কি তার সমান,যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরনের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্য দুর্ভোগ।তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।"সূরা বাকারা,(২) : ৭৪হাদিসে অন্তরের কঠোরতার নিন্দা :"আল্লাহ থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী মানুষ হচ্ছে কঠোর অন্তরের মানুষ " -(জামে তিরমিযী,হাদীস নং ২৪১১)📖বই অভ্যন্তরীণ তত্ত্ব :অন্তরের কঠোরতা নিন্দনীয় এক আপদ। আল্লাহর যিকির ব্যাতিত অধিক কথা বলা, আল্লাহ তা'আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা,অধিক পরিমানে হাসি-তামাশা করা, অধিক পরিমাণে পানাহার,গুনাহের আধিক্য ইত্যাদি কারনে আমাদের অন্তর কঠোর হয়ে যায়।এই কঠোরতা দূর করে অন্তরকে নরম ও আমলমুখী করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে প্রণিধানযোগ্য :-বেশি বেশি আল্লাহর যিকির,চিন্তাভাবনা সহকারে কোরআন তিলাওয়াত,কিয়ামুল লাইল(তাহাজ্জুদ আদায়),পুণ্যবানদের সাথে উঠাবসা ইত্যাদি।ইয়াতিম, গগরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি দয়া করা, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করাও আমাদের অন্তরকে কঠোর হতে বাধা দেয়।ব্যাক্তিগত উপলব্ধি : কঠোর হৃদয় বইটি একটি পরীক্ষার খাতা বলা যায়। মালিক ইবনু দীনার রহ. বলেন,"অন্তরের কঠোরতার চেয়ে বড় কোনো শাস্তি বান্দাকে দেওয়া হয়নি।"-কথাটা বাস্তব।কারণ,অন্তর কঠোর হলে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায়।গুনাহ করলে কষ্ট হয় না।অনুভূতি মরে যায়।চোখ থেকে অশ্রু ঝরে না।নেক আমলেও আগ্রহ আসে না।গুনাহের দিকেও থাকে টান।মুমিনের জন্য এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে?অপরদিকে অন্তর নরম হলে তা আল্লাহর দিকে ঝোকে।গুনাহ হয়ে গেলে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়।নেক আমল করতে ভালো লাগে,শান্তি লাগে।কোনোভাবে গুনাহ হয়ে গেলে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আগে অন্তর শান্ত হয়না।এই তো মুমিনের জীবন।প্রশান্ত জীবন।বই থেকে কিছু ভালো লাগা ::অযোগ্য বা ছোটদেরকে বড় ব্যাক্তিগণ উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক সময় বড় উপহার দিয়ে থাকেন।কিন্তু ছোটরা যদি নিজেকে উক্ত উপহারের যোগ্য ভাবতে শুরু করে তাহলে তার মাঝে অহমিকা সৃষ্টি হয় এবং সে নিজেকে এমন স্তরের ভাবতে শুরু করে যে স্তরের যোগ্য সে নয়।এমন মানুষ দ্বারা জমিনে অনেক ফাসাদ ছড়ায়। " "শরীর ঘর্মাক্ত হলে হালকা হয়।অনুরুপ অন্তরের পাপ কম হলে দ্রুত অশ্রু ঝরে।" "আসলে মরণ পাপিষ্ঠজন ফাসবে কঠিন জাহান্নামে,মানবে যদি খোদার বিধান, থাকবে তুমি খুব আরামে।আসবে ফিরে ধরাধামে,সেই আশাতে গুড়েবালি,থাকতে ধরায় করতে হবে আমলনামার পাল্লা ভারী।" কীভাবে হৃদয় কঠোর হয়,এর ক্ষতি কী,কীভাবেই বা এই অবস্থা বদলাতে হয় এ বিষয়ে জানতে অবশ্যই এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকাটি পড়া উচিত।ইংশাল্লাহ বইটি পাঠকের অন্তর নরম করতে সহায়ক হবে।❤️
An Najahah Shop
Category List
All products

বই: কঠোর হৃদয়(ভয়াবহতা,কারণ,প্রতিকার) লেখক: হাফিয আল্লামা আবুল ফারাজ ও ইবনু রজব হাম্বলি রহ.
অনুবাদ : মাওলানা শামসুল আরেফীন মুন্সী
প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ
অন্তর কঠোর হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়।কোরআন,হাদিস ও সালাফদের বক্তব্যে বিষয়টি সুস্পষ্ট। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
"আল্লাহ যার বক্ষ(অন্তরকে) ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,অত:পর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে।(সে কি তার সমান,যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরনের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্য দুর্ভোগ।তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।"
সূরা বাকারা,(২) : ৭৪
হাদিসে অন্তরের কঠোরতার নিন্দা :
"আল্লাহ থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী মানুষ হচ্ছে কঠোর অন্তরের মানুষ " -(জামে তিরমিযী,হাদীস নং ২৪১১)
📖বই অভ্যন্তরীণ তত্ত্ব :অন্তরের কঠোরতা নিন্দনীয় এক আপদ। আল্লাহর যিকির ব্যাতিত অধিক কথা বলা, আল্লাহ তা'আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা,অধিক পরিমানে হাসি-তামাশা করা, অধিক পরিমাণে পানাহার,গুনাহের আধিক্য ইত্যাদি কারনে আমাদের অন্তর কঠোর হয়ে যায়।এই কঠোরতা দূর করে অন্তরকে নরম ও আমলমুখী করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে প্রণিধানযোগ্য :-বেশি বেশি আল্লাহর যিকির,চিন্তাভাবনা সহকারে কোরআন তিলাওয়াত,কিয়ামুল লাইল(তাহাজ্জুদ আদায়),পুণ্যবানদের সাথে উঠাবসা ইত্যাদি।ইয়াতিম, গগরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি দয়া করা, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করাও আমাদের অন্তরকে কঠোর হতে বাধা দেয়
।ব্যাক্তিগত উপলব্ধি : কঠোর হৃদয় বইটি একটি পরীক্ষার খাতা বলা যায়। মালিক ইবনু দীনার রহ. বলেন,"অন্তরের কঠোরতার চেয়ে বড় কোনো শাস্তি বান্দাকে দেওয়া হয়নি।"-কথাটা বাস্তব।কারণ,অন্তর কঠোর হলে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায়।গুনাহ করলে কষ্ট হয় না।অনুভূতি মরে যায়।চোখ থেকে অশ্রু ঝরে না।নেক আমলেও আগ্রহ আসে না।গুনাহের দিকেও থাকে টান।মুমিনের জন্য এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে?
অপরদিকে অন্তর নরম হলে তা আল্লাহর দিকে ঝোকে।গুনাহ হয়ে গেলে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়।নেক আমল করতে ভালো লাগে,শান্তি লাগে।কোনোভাবে গুনাহ হয়ে গেলে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আগে অন্তর শান্ত হয়না।এই তো মুমিনের জীবন।প্রশান্ত জীবন।
বই থেকে কিছু ভালো লাগা ::
অযোগ্য বা ছোটদেরকে বড় ব্যাক্তিগণ উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক সময় বড় উপহার দিয়ে থাকেন।কিন্তু ছোটরা যদি নিজেকে উক্ত উপহারের যোগ্য ভাবতে শুরু করে তাহলে তার মাঝে অহমিকা সৃষ্টি হয় এবং সে নিজেকে এমন স্তরের ভাবতে শুরু করে যে স্তরের যোগ্য সে নয়।এমন মানুষ দ্বারা জমিনে অনেক ফাসাদ ছড়ায়। "
"শরীর ঘর্মাক্ত হলে হালকা হয়।অনুরুপ অন্তরের পাপ কম হলে দ্রুত অশ্রু ঝরে।"
"আসলে মরণ পাপিষ্ঠজন ফাসবে কঠিন জাহান্নামে,
মানবে যদি খোদার বিধান, থাকবে তুমি খুব আরামে।
আসবে ফিরে ধরাধামে,সেই আশাতে গুড়েবালি,
থাকতে ধরায় করতে হবে আমলনামার পাল্লা ভারী।"
কীভাবে হৃদয় কঠোর হয়,এর ক্ষতি কী,কীভাবেই বা এই অবস্থা বদলাতে হয় এ বিষয়ে জানতে অবশ্যই এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকাটি পড়া উচিত।ইংশাল্লাহ বইটি পাঠকের অন্তর নরম করতে সহায়ক হবে।❤️
অনুবাদ : মাওলানা শামসুল আরেফীন মুন্সী
প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ
অন্তর কঠোর হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়।কোরআন,হাদিস ও সালাফদের বক্তব্যে বিষয়টি সুস্পষ্ট। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
"আল্লাহ যার বক্ষ(অন্তরকে) ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,অত:পর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে।(সে কি তার সমান,যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরনের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্য দুর্ভোগ।তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।"
সূরা বাকারা,(২) : ৭৪
হাদিসে অন্তরের কঠোরতার নিন্দা :
"আল্লাহ থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী মানুষ হচ্ছে কঠোর অন্তরের মানুষ " -(জামে তিরমিযী,হাদীস নং ২৪১১)
📖বই অভ্যন্তরীণ তত্ত্ব :অন্তরের কঠোরতা নিন্দনীয় এক আপদ। আল্লাহর যিকির ব্যাতিত অধিক কথা বলা, আল্লাহ তা'আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা,অধিক পরিমানে হাসি-তামাশা করা, অধিক পরিমাণে পানাহার,গুনাহের আধিক্য ইত্যাদি কারনে আমাদের অন্তর কঠোর হয়ে যায়।এই কঠোরতা দূর করে অন্তরকে নরম ও আমলমুখী করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে প্রণিধানযোগ্য :-বেশি বেশি আল্লাহর যিকির,চিন্তাভাবনা সহকারে কোরআন তিলাওয়াত,কিয়ামুল লাইল(তাহাজ্জুদ আদায়),পুণ্যবানদের সাথে উঠাবসা ইত্যাদি।ইয়াতিম, গগরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি দয়া করা, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করাও আমাদের অন্তরকে কঠোর হতে বাধা দেয়
।ব্যাক্তিগত উপলব্ধি : কঠোর হৃদয় বইটি একটি পরীক্ষার খাতা বলা যায়। মালিক ইবনু দীনার রহ. বলেন,"অন্তরের কঠোরতার চেয়ে বড় কোনো শাস্তি বান্দাকে দেওয়া হয়নি।"-কথাটা বাস্তব।কারণ,অন্তর কঠোর হলে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায়।গুনাহ করলে কষ্ট হয় না।অনুভূতি মরে যায়।চোখ থেকে অশ্রু ঝরে না।নেক আমলেও আগ্রহ আসে না।গুনাহের দিকেও থাকে টান।মুমিনের জন্য এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে?
অপরদিকে অন্তর নরম হলে তা আল্লাহর দিকে ঝোকে।গুনাহ হয়ে গেলে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়।নেক আমল করতে ভালো লাগে,শান্তি লাগে।কোনোভাবে গুনাহ হয়ে গেলে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আগে অন্তর শান্ত হয়না।এই তো মুমিনের জীবন।প্রশান্ত জীবন।
বই থেকে কিছু ভালো লাগা ::
অযোগ্য বা ছোটদেরকে বড় ব্যাক্তিগণ উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক সময় বড় উপহার দিয়ে থাকেন।কিন্তু ছোটরা যদি নিজেকে উক্ত উপহারের যোগ্য ভাবতে শুরু করে তাহলে তার মাঝে অহমিকা সৃষ্টি হয় এবং সে নিজেকে এমন স্তরের ভাবতে শুরু করে যে স্তরের যোগ্য সে নয়।এমন মানুষ দ্বারা জমিনে অনেক ফাসাদ ছড়ায়। "
"শরীর ঘর্মাক্ত হলে হালকা হয়।অনুরুপ অন্তরের পাপ কম হলে দ্রুত অশ্রু ঝরে।"
"আসলে মরণ পাপিষ্ঠজন ফাসবে কঠিন জাহান্নামে,
মানবে যদি খোদার বিধান, থাকবে তুমি খুব আরামে।
আসবে ফিরে ধরাধামে,সেই আশাতে গুড়েবালি,
থাকতে ধরায় করতে হবে আমলনামার পাল্লা ভারী।"
কীভাবে হৃদয় কঠোর হয়,এর ক্ষতি কী,কীভাবেই বা এই অবস্থা বদলাতে হয় এ বিষয়ে জানতে অবশ্যই এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকাটি পড়া উচিত।ইংশাল্লাহ বইটি পাঠকের অন্তর নরম করতে সহায়ক হবে।❤️
কঠোর হৃদয়
35 BDT50 BDTSave 15 BDT
1
বই: কঠোর হৃদয়(ভয়াবহতা,কারণ,প্রতিকার) লেখক: হাফিয আল্লামা আবুল ফারাজ ও ইবনু রজব হাম্বলি রহ.
অনুবাদ : মাওলানা শামসুল আরেফীন মুন্সী
প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ
অন্তর কঠোর হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়।কোরআন,হাদিস ও সালাফদের বক্তব্যে বিষয়টি সুস্পষ্ট। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
"আল্লাহ যার বক্ষ(অন্তরকে) ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,অত:পর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে।(সে কি তার সমান,যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরনের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্য দুর্ভোগ।তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।"
সূরা বাকারা,(২) : ৭৪
হাদিসে অন্তরের কঠোরতার নিন্দা :
"আল্লাহ থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী মানুষ হচ্ছে কঠোর অন্তরের মানুষ " -(জামে তিরমিযী,হাদীস নং ২৪১১)
📖বই অভ্যন্তরীণ তত্ত্ব :অন্তরের কঠোরতা নিন্দনীয় এক আপদ। আল্লাহর যিকির ব্যাতিত অধিক কথা বলা, আল্লাহ তা'আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা,অধিক পরিমানে হাসি-তামাশা করা, অধিক পরিমাণে পানাহার,গুনাহের আধিক্য ইত্যাদি কারনে আমাদের অন্তর কঠোর হয়ে যায়।এই কঠোরতা দূর করে অন্তরকে নরম ও আমলমুখী করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে প্রণিধানযোগ্য :-বেশি বেশি আল্লাহর যিকির,চিন্তাভাবনা সহকারে কোরআন তিলাওয়াত,কিয়ামুল লাইল(তাহাজ্জুদ আদায়),পুণ্যবানদের সাথে উঠাবসা ইত্যাদি।ইয়াতিম, গগরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি দয়া করা, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করাও আমাদের অন্তরকে কঠোর হতে বাধা দেয়
।ব্যাক্তিগত উপলব্ধি : কঠোর হৃদয় বইটি একটি পরীক্ষার খাতা বলা যায়। মালিক ইবনু দীনার রহ. বলেন,"অন্তরের কঠোরতার চেয়ে বড় কোনো শাস্তি বান্দাকে দেওয়া হয়নি।"-কথাটা বাস্তব।কারণ,অন্তর কঠোর হলে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায়।গুনাহ করলে কষ্ট হয় না।অনুভূতি মরে যায়।চোখ থেকে অশ্রু ঝরে না।নেক আমলেও আগ্রহ আসে না।গুনাহের দিকেও থাকে টান।মুমিনের জন্য এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে?
অপরদিকে অন্তর নরম হলে তা আল্লাহর দিকে ঝোকে।গুনাহ হয়ে গেলে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়।নেক আমল করতে ভালো লাগে,শান্তি লাগে।কোনোভাবে গুনাহ হয়ে গেলে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আগে অন্তর শান্ত হয়না।এই তো মুমিনের জীবন।প্রশান্ত জীবন।
বই থেকে কিছু ভালো লাগা ::
অযোগ্য বা ছোটদেরকে বড় ব্যাক্তিগণ উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক সময় বড় উপহার দিয়ে থাকেন।কিন্তু ছোটরা যদি নিজেকে উক্ত উপহারের যোগ্য ভাবতে শুরু করে তাহলে তার মাঝে অহমিকা সৃষ্টি হয় এবং সে নিজেকে এমন স্তরের ভাবতে শুরু করে যে স্তরের যোগ্য সে নয়।এমন মানুষ দ্বারা জমিনে অনেক ফাসাদ ছড়ায়। "
"শরীর ঘর্মাক্ত হলে হালকা হয়।অনুরুপ অন্তরের পাপ কম হলে দ্রুত অশ্রু ঝরে।"
"আসলে মরণ পাপিষ্ঠজন ফাসবে কঠিন জাহান্নামে,
মানবে যদি খোদার বিধান, থাকবে তুমি খুব আরামে।
আসবে ফিরে ধরাধামে,সেই আশাতে গুড়েবালি,
থাকতে ধরায় করতে হবে আমলনামার পাল্লা ভারী।"
কীভাবে হৃদয় কঠোর হয়,এর ক্ষতি কী,কীভাবেই বা এই অবস্থা বদলাতে হয় এ বিষয়ে জানতে অবশ্যই এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকাটি পড়া উচিত।ইংশাল্লাহ বইটি পাঠকের অন্তর নরম করতে সহায়ক হবে।❤️
অনুবাদ : মাওলানা শামসুল আরেফীন মুন্সী
প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ
অন্তর কঠোর হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়।কোরআন,হাদিস ও সালাফদের বক্তব্যে বিষয়টি সুস্পষ্ট। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
"আল্লাহ যার বক্ষ(অন্তরকে) ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,অত:পর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে।(সে কি তার সমান,যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরনের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্য দুর্ভোগ।তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।"
সূরা বাকারা,(২) : ৭৪
হাদিসে অন্তরের কঠোরতার নিন্দা :
"আল্লাহ থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী মানুষ হচ্ছে কঠোর অন্তরের মানুষ " -(জামে তিরমিযী,হাদীস নং ২৪১১)
📖বই অভ্যন্তরীণ তত্ত্ব :অন্তরের কঠোরতা নিন্দনীয় এক আপদ। আল্লাহর যিকির ব্যাতিত অধিক কথা বলা, আল্লাহ তা'আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা,অধিক পরিমানে হাসি-তামাশা করা, অধিক পরিমাণে পানাহার,গুনাহের আধিক্য ইত্যাদি কারনে আমাদের অন্তর কঠোর হয়ে যায়।এই কঠোরতা দূর করে অন্তরকে নরম ও আমলমুখী করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে প্রণিধানযোগ্য :-বেশি বেশি আল্লাহর যিকির,চিন্তাভাবনা সহকারে কোরআন তিলাওয়াত,কিয়ামুল লাইল(তাহাজ্জুদ আদায়),পুণ্যবানদের সাথে উঠাবসা ইত্যাদি।ইয়াতিম, গগরীব ও অসহায় মানুষের প্রতি দয়া করা, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করাও আমাদের অন্তরকে কঠোর হতে বাধা দেয়
।ব্যাক্তিগত উপলব্ধি : কঠোর হৃদয় বইটি একটি পরীক্ষার খাতা বলা যায়। মালিক ইবনু দীনার রহ. বলেন,"অন্তরের কঠোরতার চেয়ে বড় কোনো শাস্তি বান্দাকে দেওয়া হয়নি।"-কথাটা বাস্তব।কারণ,অন্তর কঠোর হলে মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায়।গুনাহ করলে কষ্ট হয় না।অনুভূতি মরে যায়।চোখ থেকে অশ্রু ঝরে না।নেক আমলেও আগ্রহ আসে না।গুনাহের দিকেও থাকে টান।মুমিনের জন্য এরচেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে?
অপরদিকে অন্তর নরম হলে তা আল্লাহর দিকে ঝোকে।গুনাহ হয়ে গেলে চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়।নেক আমল করতে ভালো লাগে,শান্তি লাগে।কোনোভাবে গুনাহ হয়ে গেলে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার আগে অন্তর শান্ত হয়না।এই তো মুমিনের জীবন।প্রশান্ত জীবন।
বই থেকে কিছু ভালো লাগা ::
অযোগ্য বা ছোটদেরকে বড় ব্যাক্তিগণ উৎসাহ প্রদানের জন্য অনেক সময় বড় উপহার দিয়ে থাকেন।কিন্তু ছোটরা যদি নিজেকে উক্ত উপহারের যোগ্য ভাবতে শুরু করে তাহলে তার মাঝে অহমিকা সৃষ্টি হয় এবং সে নিজেকে এমন স্তরের ভাবতে শুরু করে যে স্তরের যোগ্য সে নয়।এমন মানুষ দ্বারা জমিনে অনেক ফাসাদ ছড়ায়। "
"শরীর ঘর্মাক্ত হলে হালকা হয়।অনুরুপ অন্তরের পাপ কম হলে দ্রুত অশ্রু ঝরে।"
"আসলে মরণ পাপিষ্ঠজন ফাসবে কঠিন জাহান্নামে,
মানবে যদি খোদার বিধান, থাকবে তুমি খুব আরামে।
আসবে ফিরে ধরাধামে,সেই আশাতে গুড়েবালি,
থাকতে ধরায় করতে হবে আমলনামার পাল্লা ভারী।"
কীভাবে হৃদয় কঠোর হয়,এর ক্ষতি কী,কীভাবেই বা এই অবস্থা বদলাতে হয় এ বিষয়ে জানতে অবশ্যই এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকাটি পড়া উচিত।ইংশাল্লাহ বইটি পাঠকের অন্তর নরম করতে সহায়ক হবে।❤️