আয়নাঘর
আয়নাঘরলেখক : ড. ইয়াদ কুনাইবীপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশনমিডিয়ার অন্তহীন প্রপাগ্যান্ডা আমাদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। আমাদের অজান্তেই। ম্যাস মিডিয়ার মায়াজালে আটকে পড়ে একসময় অবশ হয়ে আসে আমাদের অনুভূতিগুলো। আমরা অবচেতনভাবে ভাবতে শুরু করি মুসলিমদের রক্ত সস্তা। আর অন্যদের রক্ত দামি।সিরিয়া, বার্মা, কাশ্মীর, ইরাক, আফগানিস্তান, মিসর, আরাকান, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান—পৃথিবীর নানা প্রান্তে মুসলিমদের নিয়মমাফিক হত্যা করা হয় প্রতিদিন। অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, ‘ডজনের বেশি নিহত’ কথাটার বিশেষ কোনো অর্থ আর আজ আমাদের কাছে নেই। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমরা অবশ হয়ে গেছি। আমাদের বিবেকের পাল্লায় কয়েক ডজন মুসলিম লাশ তেমন একটা ভারী মনে হয় না। কারণ, আমরা প্রতিদিন দেখি ম্যাস মিডিয়া ভাবলেশহীন মুখে মুসলিম নিধনের খবর দিয়ে যাচ্ছে। দিকে দিকে মুসলিমদের খুন করা হলেও, সবাই এটাকে ধরে নিয়েছে স্বাভাবিক হিসেবে। যেন এতে চিন্তিত হবার কিছু নেই। উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। এটাই রুটিন।অন্যদিকে একজন কাফির মারা গেলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পৃথিবী। ইস্রাইলি সন্ত্রাসী বাহিনীর সৈনিক গিলাদ শালিত যখন বন্দী হয়েছিল তখন ইস্রাইল কী করেছিল? সেনাবাহিনী আর বিমানবাহিনীর পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গাযার ওপর। হত্যা করেছিল এক হাজারের বেশি মুসলিমকে। কারাগারে বন্দী মুসলিমদের ওপর চালাচ্ছিল নতুন নতুন সব টর্চার। আর এই টর্চারগুলোর নাম দিয়েছিল, ‘শালিতের জন্য শাস্তি’। শালিতকে নিয়ে বন্দী-বিনিময় চুক্তি হবার আগে ফিলিস্তিনের শত শত মুসলিমদের বন্দী করেছিল ইহুদীরা। এই সবকিছু করা হয়েছিল, শুধু একজন ইহুদী সন্ত্রাসীর জন্য। ওরা আসলে আমাদের একটা মেসেজ দিচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দিচ্ছিল একটা বার্তা—একজন ইহুদী বন্দীর দাম হাজারো মুসলিমের প্রাণের চেয়ে বেশি। তাদের একজন তো পত্রিকায় কলাম লিখে বলেওছিল, ‘অনস্বীকার্য সত্য হলো, আমাদের একজনের দাম ওদের হাজার জনের সমান।’অন্যদিকে ২০১৩ এর এক কালো দিনে মিসরে হত্যা করা হয় হাজারেরও বেশি মুসলিমকে। হত্যাকাণ্ড চালায় মিসর রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী, প্রশাসন। যে রাষ্ট্র আর সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল সিনাই উপত্যকায় চালানো ইস্রাইলী আগ্রাসন ও হত্যাকাণ্ডের জবাব দেয়া, সেই সেনাবাহিনী আর রাষ্ট্র ব্যস্ত ছিল মুসলিম নিধনে।এসব লোকের ব্যাপারে শরীয়াহর বিধান কী, সেটা আমাদের আলোচনার বিষয় না। তবে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন এখানে আসে। এ ধরনের মানুষদের নিয়ে পশ্চিমাদের এত মাথাব্যথা কেন? তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেন শুধু এদের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়? অ্যামেরিকান সেনারা যখন আফগানিস্তানে আমাদের মুসলিমদের ভাইদের হাতের আঙুল কেটে নেয়, হত্যা করার পর তাঁদের মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়, তাঁদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাঁদের শরীরের গোশত নিজেদের কুকুরদের খেতে দেয়, তখন তো টুঁ শব্দটা শোনা যায় না। তখন কেন পশ্চিমারা কথা বলতে ভুলে যায়?আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখন কোথায় থাকে? মানবতার গালভরা বুলি তখন কোথায় হারিয়ে যায়? বরং এসব ব্যাপারে অ্যামেরিকান সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা ভাবলেশহীন মুখে জবাব দেয়, ‘আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।‘ওরা আমাদের রক্ত নিয়ে তামাশা করে। কারণ, মুসলিমদের রক্ত ওদের কাছে সস্তা। পানির চেয়েও সস্তা।এ তো গেল ওদের কথা। কিন্তু আমাদের কী অবস্থা?আমাদের কাদেরকে নিয়ে চিন্তা করা উচিত? সিরিয়া, আরাকান, কাশ্মীর কিংবা পূর্ব তুর্কিস্থানে খুন হওয়া মুসলিম শিশু কিংবা ধর্ষিত মুসলিম নারী? নাকি ওইসব পশ্চিমা লোকজন, যাদের নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর মিডিয়া? কোন রক্তের মূল্য আমাদের কাছে বেশি?.মুসলিমের রক্ত আজ সস্তা কেন?
An Najahah Shop
Category List
All products

আয়নাঘর
লেখক : ড. ইয়াদ কুনাইবী
প্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন
মিডিয়ার অন্তহীন প্রপাগ্যান্ডা আমাদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। আমাদের অজান্তেই। ম্যাস মিডিয়ার মায়াজালে আটকে পড়ে একসময় অবশ হয়ে আসে আমাদের অনুভূতিগুলো। আমরা অবচেতনভাবে ভাবতে শুরু করি মুসলিমদের রক্ত সস্তা। আর অন্যদের রক্ত দামি।
সিরিয়া, বার্মা, কাশ্মীর, ইরাক, আফগানিস্তান, মিসর, আরাকান, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান—পৃথিবীর নানা প্রান্তে মুসলিমদের নিয়মমাফিক হত্যা করা হয় প্রতিদিন। অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, ‘ডজনের বেশি নিহত’ কথাটার বিশেষ কোনো অর্থ আর আজ আমাদের কাছে নেই। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমরা অবশ হয়ে গেছি। আমাদের বিবেকের পাল্লায় কয়েক ডজন মুসলিম লাশ তেমন একটা ভারী মনে হয় না।
কারণ, আমরা প্রতিদিন দেখি ম্যাস মিডিয়া ভাবলেশহীন মুখে মুসলিম নিধনের খবর দিয়ে যাচ্ছে। দিকে দিকে মুসলিমদের খুন করা হলেও, সবাই এটাকে ধরে নিয়েছে স্বাভাবিক হিসেবে। যেন এতে চিন্তিত হবার কিছু নেই। উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। এটাই রুটিন।
অন্যদিকে একজন কাফির মারা গেলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পৃথিবী।
ইস্রাইলি সন্ত্রাসী বাহিনীর সৈনিক গিলাদ শালিত যখন বন্দী হয়েছিল তখন ইস্রাইল কী করেছিল? সেনাবাহিনী আর বিমানবাহিনীর পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গাযার ওপর। হত্যা করেছিল এক হাজারের বেশি মুসলিমকে। কারাগারে বন্দী মুসলিমদের ওপর চালাচ্ছিল নতুন নতুন সব টর্চার। আর এই টর্চারগুলোর নাম দিয়েছিল, ‘শালিতের জন্য শাস্তি’। শালিতকে নিয়ে বন্দী-বিনিময় চুক্তি হবার আগে ফিলিস্তিনের শত শত মুসলিমদের বন্দী করেছিল ইহুদীরা। এই সবকিছু করা হয়েছিল, শুধু একজন ইহুদী সন্ত্রাসীর জন্য।
ওরা আসলে আমাদের একটা মেসেজ দিচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দিচ্ছিল একটা বার্তা—একজন ইহুদী বন্দীর দাম হাজারো মুসলিমের প্রাণের চেয়ে বেশি। তাদের একজন তো পত্রিকায় কলাম লিখে বলেওছিল, ‘অনস্বীকার্য সত্য হলো, আমাদের একজনের দাম ওদের হাজার জনের সমান।’
অন্যদিকে ২০১৩ এর এক কালো দিনে মিসরে হত্যা করা হয় হাজারেরও বেশি মুসলিমকে। হত্যাকাণ্ড চালায় মিসর রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী, প্রশাসন। যে রাষ্ট্র আর সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল সিনাই উপত্যকায় চালানো ইস্রাইলী আগ্রাসন ও হত্যাকাণ্ডের জবাব দেয়া, সেই সেনাবাহিনী আর রাষ্ট্র ব্যস্ত ছিল মুসলিম নিধনে।
এসব লোকের ব্যাপারে শরীয়াহর বিধান কী, সেটা আমাদের আলোচনার বিষয় না। তবে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন এখানে আসে।
এ ধরনের মানুষদের নিয়ে পশ্চিমাদের এত মাথাব্যথা কেন? তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেন শুধু এদের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়?
অ্যামেরিকান সেনারা যখন আফগানিস্তানে আমাদের মুসলিমদের ভাইদের হাতের আঙুল কেটে নেয়, হত্যা করার পর তাঁদের মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়, তাঁদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাঁদের শরীরের গোশত নিজেদের কুকুরদের খেতে দেয়, তখন তো টুঁ শব্দটা শোনা যায় না। তখন কেন পশ্চিমারা কথা বলতে ভুলে যায়?
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখন কোথায় থাকে? মানবতার গালভরা বুলি তখন কোথায় হারিয়ে যায়?
বরং এসব ব্যাপারে অ্যামেরিকান সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা ভাবলেশহীন মুখে জবাব দেয়, ‘আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।‘
ওরা আমাদের রক্ত নিয়ে তামাশা করে। কারণ, মুসলিমদের রক্ত ওদের কাছে সস্তা। পানির চেয়েও সস্তা।
এ তো গেল ওদের কথা। কিন্তু আমাদের কী অবস্থা?
আমাদের কাদেরকে নিয়ে চিন্তা করা উচিত? সিরিয়া, আরাকান, কাশ্মীর কিংবা পূর্ব তুর্কিস্থানে খুন হওয়া মুসলিম শিশু কিংবা ধর্ষিত মুসলিম নারী? নাকি ওইসব পশ্চিমা লোকজন, যাদের নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর মিডিয়া? কোন রক্তের মূল্য আমাদের কাছে বেশি?
.
মুসলিমের রক্ত আজ সস্তা কেন?
আয়নাঘর
200 BDT
1
আয়নাঘর
লেখক : ড. ইয়াদ কুনাইবী
প্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন
মিডিয়ার অন্তহীন প্রপাগ্যান্ডা আমাদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। আমাদের অজান্তেই। ম্যাস মিডিয়ার মায়াজালে আটকে পড়ে একসময় অবশ হয়ে আসে আমাদের অনুভূতিগুলো। আমরা অবচেতনভাবে ভাবতে শুরু করি মুসলিমদের রক্ত সস্তা। আর অন্যদের রক্ত দামি।
সিরিয়া, বার্মা, কাশ্মীর, ইরাক, আফগানিস্তান, মিসর, আরাকান, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান—পৃথিবীর নানা প্রান্তে মুসলিমদের নিয়মমাফিক হত্যা করা হয় প্রতিদিন। অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, ‘ডজনের বেশি নিহত’ কথাটার বিশেষ কোনো অর্থ আর আজ আমাদের কাছে নেই। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমরা অবশ হয়ে গেছি। আমাদের বিবেকের পাল্লায় কয়েক ডজন মুসলিম লাশ তেমন একটা ভারী মনে হয় না।
কারণ, আমরা প্রতিদিন দেখি ম্যাস মিডিয়া ভাবলেশহীন মুখে মুসলিম নিধনের খবর দিয়ে যাচ্ছে। দিকে দিকে মুসলিমদের খুন করা হলেও, সবাই এটাকে ধরে নিয়েছে স্বাভাবিক হিসেবে। যেন এতে চিন্তিত হবার কিছু নেই। উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। এটাই রুটিন।
অন্যদিকে একজন কাফির মারা গেলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পৃথিবী।
ইস্রাইলি সন্ত্রাসী বাহিনীর সৈনিক গিলাদ শালিত যখন বন্দী হয়েছিল তখন ইস্রাইল কী করেছিল? সেনাবাহিনী আর বিমানবাহিনীর পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গাযার ওপর। হত্যা করেছিল এক হাজারের বেশি মুসলিমকে। কারাগারে বন্দী মুসলিমদের ওপর চালাচ্ছিল নতুন নতুন সব টর্চার। আর এই টর্চারগুলোর নাম দিয়েছিল, ‘শালিতের জন্য শাস্তি’। শালিতকে নিয়ে বন্দী-বিনিময় চুক্তি হবার আগে ফিলিস্তিনের শত শত মুসলিমদের বন্দী করেছিল ইহুদীরা। এই সবকিছু করা হয়েছিল, শুধু একজন ইহুদী সন্ত্রাসীর জন্য।
ওরা আসলে আমাদের একটা মেসেজ দিচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দিচ্ছিল একটা বার্তা—একজন ইহুদী বন্দীর দাম হাজারো মুসলিমের প্রাণের চেয়ে বেশি। তাদের একজন তো পত্রিকায় কলাম লিখে বলেওছিল, ‘অনস্বীকার্য সত্য হলো, আমাদের একজনের দাম ওদের হাজার জনের সমান।’
অন্যদিকে ২০১৩ এর এক কালো দিনে মিসরে হত্যা করা হয় হাজারেরও বেশি মুসলিমকে। হত্যাকাণ্ড চালায় মিসর রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী, প্রশাসন। যে রাষ্ট্র আর সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল সিনাই উপত্যকায় চালানো ইস্রাইলী আগ্রাসন ও হত্যাকাণ্ডের জবাব দেয়া, সেই সেনাবাহিনী আর রাষ্ট্র ব্যস্ত ছিল মুসলিম নিধনে।
এসব লোকের ব্যাপারে শরীয়াহর বিধান কী, সেটা আমাদের আলোচনার বিষয় না। তবে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন এখানে আসে।
এ ধরনের মানুষদের নিয়ে পশ্চিমাদের এত মাথাব্যথা কেন? তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেন শুধু এদের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়?
অ্যামেরিকান সেনারা যখন আফগানিস্তানে আমাদের মুসলিমদের ভাইদের হাতের আঙুল কেটে নেয়, হত্যা করার পর তাঁদের মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়, তাঁদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাঁদের শরীরের গোশত নিজেদের কুকুরদের খেতে দেয়, তখন তো টুঁ শব্দটা শোনা যায় না। তখন কেন পশ্চিমারা কথা বলতে ভুলে যায়?
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখন কোথায় থাকে? মানবতার গালভরা বুলি তখন কোথায় হারিয়ে যায়?
বরং এসব ব্যাপারে অ্যামেরিকান সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা ভাবলেশহীন মুখে জবাব দেয়, ‘আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।‘
ওরা আমাদের রক্ত নিয়ে তামাশা করে। কারণ, মুসলিমদের রক্ত ওদের কাছে সস্তা। পানির চেয়েও সস্তা।
এ তো গেল ওদের কথা। কিন্তু আমাদের কী অবস্থা?
আমাদের কাদেরকে নিয়ে চিন্তা করা উচিত? সিরিয়া, আরাকান, কাশ্মীর কিংবা পূর্ব তুর্কিস্থানে খুন হওয়া মুসলিম শিশু কিংবা ধর্ষিত মুসলিম নারী? নাকি ওইসব পশ্চিমা লোকজন, যাদের নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর মিডিয়া? কোন রক্তের মূল্য আমাদের কাছে বেশি?
.
মুসলিমের রক্ত আজ সস্তা কেন?